যশোরের মনিরামপুরে ছেলের শাবলের আঘাতে পিতার মৃত্যু

শোরের মনিরামপুরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছেলের শাবলের আঘাতে তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি (৬৫) নামে এক পিতা খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর উপজেলার গালদা গ্রামে। নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের মৃত হাসান আলী পাটোয়ারীর ছেলে। অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (৩৫) ঘটনার পর পালিয়েছে। খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী আনোয়ার বেগম, ছোটভাই মাজু মিয়া, বড় পুত্রবধু মুন্নি খাতুন, ছোট পুত্রবধু রেহেনা খাতুনকে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি মেম্বর ইকরামুল হোসেন জানান, নিহতের দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন ও হুমায়ুন কবির মালোশিয়ায় চাকুরি করতেন। সম্প্রতি তারা বাড়িতে আসেন। তাদের পাঠানো টাকার হিসাব নিয়ে পিতার সাথে বিরোধ চলছিলো। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটে।
নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমসহ এলাকাবাসী জানায়, তাজুল ইসলামের দুই ছেলে মালয়েশিয়া থেকে পিতার কাছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা পাঠায়। সম্প্রতি দুই ছেলে বাড়িতে এসে পিতার কাছে ওই টাকার হিসাব চায়। কিন্তু পিতা সেই টাকার হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে পিতার সাথে দুই ছেলের ভূল বোঝাবুঝি হয়। ওই টাকার হিসাব নিয়ে আনোয়ারের সাথে পিতার বিরোধ চলছিল।

নিহতের ছোট ভাই প্রত্যক্ষদর্শী মাজু মিয়া জানান, শুক্রবার পিতা ও ছেলে গ্রামের মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ আদায় করে বাড়ি আসে। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘরের মধ্যে ওই টাকা নিয়ে পিতা ছেলের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে আনোয়ার হোসেন লোহার শাবল দিয়ে ঘাড়ে ও পিঠে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই পিতা তাজুল ইসলাম নিহত হয়।

থানার এসআই খান আব্দুর রহমান জানান, নিহত তাজুল ইসলামের বড় ভাই নাজমুল ইসলাম পটোয়ারি যশোর শহরে জমি ক্রয়ের তোড়জোড় করছিলেন। এতে ছেলে আনোয়ারের সন্দেহ হয় যে তাদের পাঠানো টাকা দিয়েই ওই জমি ক্রয় করা হচ্ছে। এ নিয়ে নিহত তাজুল ইসলামের সাথে আনোয়ারের কথাকাটির এক পর্যায়ে ঘরে থাকা শাবল দিয়ে পিতাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই পিতা নিহত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন ।

খবর পেয়ে ওসি (সার্বিক) সহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে খেদাপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সালাহ উদ্দিন নিহতের স্ত্রী আনোয়ার বেগম, ছোটভাই মাজু মিয়া, বড় পুত্রবধু মুন্নি খাতুন, ছোট পুত্রবধু রেহেনা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment