ইরফান ২ বছর আগেই মৃত্যুর কথা টের পেয়েছিল: নাসিরুদ্দিন

বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে পরাজিত হন অভিনেতা। অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।

তবে মৃত্যুর ২ বছর আগেই সেটা টের পেয়েছিলেন ইরফান। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন বরেণ্য অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি জানান, ইরফান তাকেও একাধিকবার আসন্ন মৃত্যুর কথা বলেছিলেন।

ইরফান আক্রান্ত ছিলেন নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে। দুই বছর ধরে বিদেশেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তি মেলেনি। তার স্মৃতিচারণ করে নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, “ইরফান অন্তত দু’বছর আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল যে, তার মৃত্যুর আর বেশি দেরি নেই। অথচ কী অদ্ভুত, সেটা নিয়েও নিজের উপলব্ধির কথা শেয়ার করতে ছাড়েনি সে। আমাকে বলতো, ‘আমি রোজ পর্যবেক্ষণ করছি, কীভাবে মৃত্যু এগিয়ে আসছে। শেষ সময় সামনে এগিয়ে আসছে জেনেও কজন মানুষ সুযোগ পায় এটা দেখার? আমি তো একপ্রকার মৃত্যুকে স্বাগত-ই জানাচ্ছি!”

নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, ‘ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরে নিজের হাতে যেভাবে ও গোটা বিষয়টা সামলেছিল, তা সত্যিই শিক্ষণীয়। তবে শরীর যখন নিজে থেকে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন সেটা কারো নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ওর চলে যাওয়াটা অপূরণীয় ক্ষতি।’

কথাশেষে নাসিরুদ্দিন যোগ করেন, ‘মৃত্যু নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা করাটা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয় কিংবা কাজের কথা নয়। আমার নিজের কত প্রিয় বন্ধু আজ নেই। ওম পুরী, ফারুখ শেখের চলে যাওয়াটা তো আজও মেনে নিতে কষ্ট হয়। কিন্তু সেই দুঃখ নিয়ে পড়ে থাকা উচিৎ নয়। আমার মতে, এই জীবনে মৃত্যুকে যেমন এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই, তেমন এটাও ঠিক মৃত্যু সবথেকে অপ্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার। আমি নিজেও মৃত্যু নিয়ে একটুও চিন্তিত নই। যখন যাওয়ার হবে চলে যাব। ব্যাস। কিন্তু যতক্ষণ আছি প্রাণ ভরে বাঁচব, কাজ করব। আমার মৃত্যুর পর দুঃখ না করে আমি কেমন কাজ করেছি, সিনেমা করেছি সেসবের মধ্যে দিয়ে যদি আমাকে মনে রাখা হয় আমি খুশি হব।’

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন