নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা আব্দুস সালাম(৫০)কে তিন মাস পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৩ জুলাই কাওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনার তিনমাস পর গত রোববার (৩০ অক্টোবর) ওই শিশুর মা বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আব্দুস সালাম উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের হিজলি দীঘাপাড়াা গ্রামের মৃত রমজান খলিফার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, অভিযুক্ত আব্দুস সালাম সম্পর্কে তার মামা শ্বশুর হন। সে সুবাদে তার শিশু কন্যা সম্পর্কে সালামের নাতনি হয়। গত ১৩ জুলাই আব্দুস সালামের আপন ভাতিজীর বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তার ১০ বছরের শিশু কন্যা কাওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীও বিয়ে বাড়িতে ছিল। এ সময় মামা শ্বশুর আব্দুস সালাম তার শিশু মেয়েকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির (স্টোর রুমে) ঘরে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে বলে এই কথা কাউকে জানালে তোকে মেরে ফেলবো। সেই ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি। এরপর থেকে ধর্ষক সালাম নিজেকে আত্মগোপনে রাখে এই তিনমাস। প্রায় তিনদিন আগে সে বাড়িতে আসে। আর তাকে দেখার পর থেকে আমার মেয়ে প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে ভয়ে কেঁদে ওঠে। রোববার সকালে আবার আমার মামা শ্বশুর আব্দুস সালামকে দেখে সে ভয় পায় এবং দৌড়ে এসে আমাকে ওইদিনের ঘটনা খুলে বলে। মেয়ের মুখে সব শুনে আমি রাতেই থানায় এসে আমার শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে আমার মামা শশুর আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। আমি ধর্ষক সালামের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিশু প্রায় তিনমাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়। রোববার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এজাহার পেয়ে রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
#
