বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ে যা বললেন আইজিপি

বঙ্গবাজারসহ সংলগ্ন অন্তত পাঁচটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে ছিল অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দুপুর সোয়া তিনটার দিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা ভোরে আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পৌনে সাতটার মধ্যে সব সিনিয়র অফিসার ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন। আমরা এসে মারাত্মক আগুন দেখি। তখন থেকেই ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। আমরা রাজারবাগ থেকে পাঁচটি ওয়াটার ক্যানন এনে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ শুরু করি। আমাদের ওয়াটার রিজার্ভার থেকে প্রায় দুই লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দিয়েছি। আমাদের প্রায় দুই হাজার ফোর্স এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। র‍্যাব-বিজিবিসহ তিন বাহিনীর সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করেছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা কিছুক্ষণ আগে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর পেয়েছি। আমাদের একটি ব্যারাকে আগুন লেগেছে। আমাদের সব সদস্য নিরাপদে বের হতে পেরেছে। মালামাল বের করতে পারিনি। তবে ডকুমেন্টস ও মালামালের কী কী ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কী অবস্থা, এখানে হাজার হাজার মানুষ। হামলার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি, এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘ঘটনাটি যখন ঘটেছে, আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল না। আস্তে আস্তে আমরা শক্তি বৃদ্ধি করেছি, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এখন পুরো পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও ঠিক রেখেছি, যার কারণে এতো বড় ঘটনার পরও ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল ছিল।’

আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে কমিটির তদন্তে বের হয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকব। সে অনুযায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন