মিরপুরে বিস্ফোরণে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

মিরপুরে বিস্ফোরণে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের সি ব্লকে গ্যাসের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রোওশনারা (৭০)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার জনে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আইসিইউতে মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।

তিনি জানান, মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ সাত জন আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ছিল। তাদের মধ্যে চার জনকে আইসিসিতে ভর্তি করা হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সবাই মারা গেছেন। সর্বশেষ রোওশনারা বিকেলে মারা গেছেন। তিনি আইসিইউর ১৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহালেশন ইনজুরি হয়েছিল।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আইসিইউর ১১ নম্বর বেডে সুমন ও ১৫ নম্বর বেডে শফিক মারা যায়। শফিকের শরীরের ৮৫ শতাংশ এবং সুমনের ৪৫ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহালেশন ইনজুরি হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ১৪ নম্বর বেডে রিনা আক্তার নামে একজন মারা যায়। তার শরীরের ৭০ শতাংশ ফ্লেম বার্ন ও ইনহালেশন ইনজুরি হয়েছিল।

ডা. আইউব বলেন, শিশুসহ তিন জন ফিমেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দুর্ঘটনাকবলিত বাড়ির মালিক রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, গত রাতে আমার মা মারা গেছেন। পরে ২টায় ও আড়াইটায় আরও দুজন মারা গেছেন। আজ বিকেলে আরও একজন মারা গেল। কি থেকে কি হয়ে গেল। সব ওলট-পালট হয়ে গেল।

বুধবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ সাত জন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন- নওশীন (৫), শফিক (৩৫), সুমন (৪০), রোওশনারা (৭০), রিনা (৫০), নাজনীন (২৫) ও রেনু (৩৫)। আর ফিমেল এইচডিইউর ৩ নম্বর বেডে নওশীন, ১৮ নম্বর বেডে নাজনীন এবং ১৬ নম্বর বেডে রেনুর চিকিৎসা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন