যেভাবে উদ্ধার হলো পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল

যেভাবে উদ্ধার হলো পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল

রাজধানীর বিজয় সরণী মোড় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধারে দেড় মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। অন্য একটি মামলার তদন্তে নেমে অনেকটা কাকতালীয়ভাবে মন্ত্রীর ফোনটির সন্ধান পায় পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় চক্রের ৫ সদস্যকে।

পুলিশ বলছে, ছিনতাই হওয়ার পর চারবার হাত বদল হয় ফোনটির। শেষ ধাপে মোবাইলটি যার হাতে যায় তিনি যখন বুঝতে পারেন এটি মন্ত্রীর ফোন তখন সেটি বিক্রি না করে রেখে দেন।

আজ (সোমবার) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।

তিনি বলেন, গত ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয়- ওই দিন বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা দুজন তার ভ্যানিটি ব্যাগটি টান দিয়ে নিয়ে যান।

মামলা দায়ের হওয়ার পর ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সগির ও সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সগির ও সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় জাকিরকে। জাকিরের দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় আরিফ নামে একজনকে। ১২ জুলাই ধানমন্ডি থানায় যিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন, তার মোবাইলটি উদ্ধার করা হয় এই আরিফের কাছে থেকেই।

আরিফ প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী। সফটওয়্যারের মাধ্যমে যেকোনো মোবাইল আনলক করে ব্যবহার উপযোগী করতে পারেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান

সাজ্জাদুর রহমান জানান, আরিফের কাছে থাকা ল্যাপটপে পরিকল্পনামন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া আইফোনের ছবি পায় পুলিশ। এরপর আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ফোনটি রয়েছে জীবন নামে একজনের কাছে। এরপর জীবন কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় মন্ত্রীর ফোনটা।

জীবন ও আরিফ জানতেন এটা মন্ত্রীর ফোন। এ জন্যই জীবন ফোনটি আর বিক্রি না করে নিজের কাছে রেখে দেন।

ডিসি সাজ্জাদ বলেন, মন্ত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইলটি আইফোন। আইফোনের লক খোলা খুবই কঠিন। কিন্তু আরিফ এ ফোনটিও আনলক করেছিলেন। আনলক অবস্থাতেই আমরা মোবাইলটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

গত ৩০ মে রাজধানীর বিজয় সরণি মোড় থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ফোনটি ছিনতাই হয়। তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রীর গানম্যানসহ ডিউটিরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছুটে গেলেও ছিনতাইকারীকে ধরতে পারেননি। ১ জুন কাফরুল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়।

সেই দোকান থেকে একজন ফোনটি ৩০-৩৫ হাজার টাকায় কিনে নেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন