রোনালদো-ম্যাগুয়েরই সবচেয়ে বেশি গালি খান টুইটারে

রোনালদো-ম্যাগুয়েরই সবচেয়ে বেশি গালি খান টুইটারে

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আছেন আলোচনায়৷ নিজে পারফর্ম করলেও গেল মৌসুমে ভালো করতে পারেনি তার দল৷ ফলে তার কাঁধেও এর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া, এরপর দলের বাজে পারফর্ম্যান্সের কারণে তিনি রীতিমতো গালিগালাজেরও শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, টুইটারে সবচেয়ে বেশি গালিগালাজ করা হয়েছে তাকে, সঙ্গে আছেন তাদের ইউনাইটেড অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়েরও।

ব্রিটিশ মিডিয়া রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান অফকম সম্প্রতি এই খবর জানিয়েছে। তাদের গবেষণায় আনা হয়েছিল মৌসুমের প্রথম ভাগের ২৩ লাখ টুইট। সেখানে উঠে এসেছে ৬০ হাজারেরও বেশি গালিগালাজ করা টুইট। সেই সব গালিগালাজের অর্ধেকেরও বেশি করা হয়েছে ১২ জন খেলোয়াড়কে, তার আটজনই ইউনাইটেডের ফুটবলার।

গবেষণার জন্য টুইটারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ খেলোয়াড়দের মধ্যে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই বেশি জনপ্রিয়, আর গবেষণার জন্য টুইটারের তথ্যই সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য।

অফকমের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা কেভিন বাখার্স্ট বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল সুন্দর খেলাটার কুৎসিত দিকটা তুলে ধরেছে। অনলাইনে বাজে ব্যবহারের কোনো জায়গা খেলাধুলায় নেই, এমনকি বৃহত্তর সমাজেও নেই। একে দমন করতে দলীয় চেষ্টা প্রয়োজন।’

সেই গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, দুটো নির্দিষ্ট সময়ে গালিগালাজপূর্ণ টুইটগুলো করা হয়েছে বেশি। প্রথমবার যখন রোনালদো ইউনাইটেডে যোগ দেন; সেদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে তিন গুণ বেশি (১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬৯টি) টুইট করেছেন, যার মধ্যে ৩৯৬১টি টুইটে গালাগাল করা হয়েছিল তাকে।

সেদিন প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারদের নিয়ে করা টুইটের ৯০ শতাংশ ছিল তাকে নিয়ে, গালমন্দ করা পোস্টের ৯৭ শতাংশের বিষয় ছিলেন রোনালদো।

এরপর সবচেয়ে বেশি গালিগালাজ করা হয়েছে গেল বছর ৭ নভেম্বর। সেদিন ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-০ গোলে হারের পর ইউনাইটেড অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ের ক্ষমা চেয়ে একটা পোস্ট করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপরই অনেক গালমন্দের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

টুইটার জানিয়েছে, ৩৮০০০টি গালমন্দ করা পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। নাহয় গবেষণাটিতে রোনালদো-ম্যাগুয়েরের প্রতি গালিগালাজ করা পোস্টের সংখ্যা আরও বাড়ত বৈকি!

 

আপনি আরও পড়তে পারেন