লুঙ্গি পরে ডাকাত সর্দারের সামনে পুলিশের এএসপি

লুঙ্গি পরে ডাকাত সর্দারের সামনে পুলিশের এএসপি

চট্টগ্রামে খুন, ডাকাতি ও ঘর পোড়ানোসহ সাত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সেলিম বাহিনীর প্রধান মো. সেলিম মিয়া ওরফে ডাকাত সেলিমকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

রোববার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে রাউজান উপজেলার কদলপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বন্দুকসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশকিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটক সেলিম রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শমশের পাড়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পুত্র।

পুলিশ  সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে রাউজান থানা পুলিশের একটি দল লুঙ্গি পরে করে গ্রামবাসীর ছদ্মবেশ ধারণ করে রাউজানের কদলপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পলায়নরত অবস্থায় ডাকাত সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির রান্নাঘরে লাকড়ির ভেতর লুকানো অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, একটি খেলনা রিভলবার (ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত), একটি রামদা, দুটি ছুরি ও একটি কিরিচ উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেকবার চেষ্টা করেও ধূর্ত স্বভাবের এই ডাকাত সর্দারকে ধরতে পারছিলাম না। তাই এবার আমরা লুঙ্গি পরে গ্রামবাসীর ছদ্মবেশ নিয়েছিলাম। তার সহযোগীদেরকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, আটকের পর ডাকাত সেলিম তার অপকর্মের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি মূলত ২০০০ সাল থেকেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রথমে ছোটখাট ছিনতাই, ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করলেও ২০১৫ সালের পর তিনি নিজেই একটি ডাকাত দল গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি শুরু করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন