শিক্ষক পরিষদের ১১ দফা দাবি

শিক্ষক পরিষদের ১১ দফা দাবি

ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগযোগ্য সকল পদে ৪৫ বছর পর্যন্ত সশি/প্রশিদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদ।

রোববার (১৮ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সশি থেকে ১০০ ভাগ সরাসরি পদোন্নতির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, প্রধান শিক্ষক পদে সপ্রশি থেকে ৫০ ভাগ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সরাসরি পদোন্নতি। বাকি ৫০ভাগ অভিজ্ঞতার শর্ত সাপেক্ষে (যা ৩ বছর হতে পারে) বিভাগীয় প্রার্থিতার ভিত্তিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদসহ ২য় শ্রেণি/ তদূর্ধ্ব শ্রেণির সকল পদে ১০০ ভাগ বিভাগীয় প্রার্থিতার ভিত্তিতে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ।

আরও দাবি করা হয়েছে, যেখানে সশি/প্রশি সবাই সুযোগ পাবে;  উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে AUEO/ATEO থেকে সরাসরি পদোন্নতি দেওয়া; উপরে ‘সরাসরি পদোন্নতি’ বলতে কোন পরীক্ষা ছাড়া শুধু জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতিকে বোঝাবে; ডিপিএড (DPEd) প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের দ্রুত প্রশিক্ষণ ভাতা দিতে হবে; ডিপিএড (DPEd) প্রশিক্ষণের ফলে প্রায় ৪৫-৫২ হাজার শিক্ষকের প্রত্যেকের ৪-৫ লাখ টাকা নগদ পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড প্রদান করা; চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের যেদিন থেকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকেই পদোন্নতি কার্যকর করা এবং ডিপিএড (DPEd) কোর্সকে বিএড (BEd) সমমান দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন