গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত মারজান

গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত মারজান

গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে পুলিশ যে তিনজনকে শনাক্ত করেছে, তাদের একজন নুরুল ইসলাম মারজান গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী মারজান এখন আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তিনি জানান, আরবি বিভাগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০৫ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেয় মারজান। এরপর থেকেই সে অনুপস্থিত।

গতবছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত মারজান

গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া অনুপস্থিত ছয় শিক্ষার্থীর তালিকায় মারজানের নাম না থাকা নিয়ে উপাচার্য বলেন, বিভাগের সভাপতি দুর্ঘটনাজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় যথাসময়ে তালিকা জমা দিতে পারেনি। এ বিষয় নিয়ে আমরা আজ বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করবো। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপাচার্য।

Brand Bazaar

কতটি বিভাগ এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তালিকা দেয়নি- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি উপাচার্য। তবে আজ-কালের মধ্যে বাকি বিভাগগুলোকে তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এখন থেকে প্রতি দুই মাস পরপর অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তালিকা হালনাগাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান। ক্যাম্পাসে তিনি ফাহাদ নামে পরিচিত ছিলেন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৪৮ পেয়ে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে উর্ত্তীণ হন। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বর্ষের ছয়টি কোর্সের পরীক্ষা দিলেও বাাক পরীক্ষায় আর অংশ নেননি।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার ঘটনায় কানাডিয়ান প্রবাসী বাংলাদেশি তামিম আহমেদ চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এরপর ১২ আগস্ট আরেক মাস্টার মাইন্ডকে শনাক্তের কথা জানায় পুলিশ। সেদিন পুলিশ তার পরিচয় জানায় মারজান বলে।

এরপর সোমবার রাতে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মারজানের বাবাকে তুলে নেওয়ার খবর আসে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment