বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে পর্যাপ্ত অর্থ ও খাদ্য মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, “এখন আমরা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছি। ৩ লক্ষ দুর্গত মানুষকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ২০ কেজি করে চাল রিজার্ভ দিয়ে রাখবো। ঘর মেরামতের জন্য তাৎক্ষণিক ৩ হাজার করে টাকা দিয়ে দিচ্ছি। আমাদের খাদ্যের কোন অভাব নাই। আমরা প্রত্যেক জেলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রেখেছি”।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, “এখন বন্যা কেটে গেছে। এরই মধ্যে আমরা ১১টি জেলায় ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিকটন চাল দুর্গত মানুষদের জন্য পৌঁছে দিয়েছি। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি নগদ টাকা দিয়ে শুকনা খাবার থেকে শুরু করে সকল ব্যবস্থা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি”।
তিনি আরো বলেন, “বন্যার সম্ভাবনা আমরা আগেই আচ করতে পেরেছিলাম সেই জন্যেই আমরা জুন মাসে উত্তর বঙ্গ সফর করি। প্রথমেই কিন্তু বন্যাটা উত্তর বঙ্গে আঘাত করে।
অন্যান্য বছর পানি বাড়ে আস্তে আস্তে, ২-৩ সেন্টিমিটার করে। এবার কিন্তু পানি লাফিয়ে উঠেছে। সকালে ৮০ হলে বিকেলে দেখি ১২০ সেন্টিমিটার!
ভারত, চীন ও নেপাল এই তিন দেশের পানির চাপে আমাদের বাঁধের ধারনক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তদারকিতে এই বন্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ছুটে গেছি উত্তরবঙ্গে, স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ২৪ ঘন্টা কাজ করেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আমরা গিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। রিলিফের সামগ্রী দিয়েছি। কি প্রয়জন তা আমরা সমাধান করত সক্ষম হয়েছি”।
মন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলসহ সকলকে আসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহব্বান করেছিলাম। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ, ১৪ দল আর এই মন্ত্রণালয় ছাড়া কেউ কিন্তু দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি! খালি মায়া কান্না খালেদা জিয়ার এবং অন্যান্য দলের। খালি ঢাকায় বইসা বন্যা পরিস্থিতি দেখে! এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক”।