নতুন হলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ আগষ্ট) সকালে পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক জবি শিক্ষার্থীরা হলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওয়ানা হলে গুলিস্তান এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২১তম দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করছিলেন তারা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে জমায়েত হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ৯টার দিকে তারা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রাটি রায়সাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বংশাল মোড়ে হোটেল আল রাজ্জাকের সামনে পদযাত্রাটি পৌঁছালে হামলা করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে তাদের আগেই বলা হয়েছিল, সবাইকে যেতে দেওয়া হবে না। একটি প্রতিনিধি দলকে আমরা পৌঁছে দেব। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তাদের আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাদের ঠেকাতে ফাঁকা টিয়ারশেল ছুড়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জমিতে চার নেতার নামে আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে ২ আগস্ট থেকে টানা আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
২০১৪ সালের ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কারাগারের জমির দাবিতে জবি কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর আবেদন করে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি। এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম জরুরি একাডেমিক সভা ডাকেন উপাচার্য। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ীভাবে দিতে একাডেমিক কাউন্সিল সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালের এক জরুরি সভায় সরকারের প্রতি আবারো আহ্বান জানায় জবি কর্তৃপক্ষ।