আর কিছুদিন পরই হয়ত আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হতে দেখা যাবে অ্যাপলের পরবর্তী প্রজন্মের আইফোন (IPhone)। প্রযুক্তি দুনিয়ায় আইফোনের নতুন নতুন এডিশনকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার চিত্রটি নতুন কিছু নয়।
কারণ অ্যাপল জানিয়েছে, যে প্রযুক্তির জন্য তারা অপেক্ষা করছিল তার অনুমোদন হয়েছে। তাই পানির নিচে ছবির রঙ ঠিক রেখেই ছবি তুলতে পারবে আইফোন ৭। সেইসাথে পানি প্রতিরোধক সুবিধা যেটা পানির নিচে অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। শুধু ব্যবহারকারী নয় ঐ সময় পানিতে থাকা অন্যরাও একসঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাবে। পণ্যটি সেলফি প্রেমীদের জন্য আকর্ষন।
কিন্তু প্রযুক্তিটির কার্যপ্রণালী সম্পর্কে কিছু না জানানো হলেও এটি যে শুধু ব্র্যান্ডের আইফোনে থাকবে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে যদিও বলা হচ্ছে, তেমন কোনো পরিবর্তন না নিয়েই আইফোন ৬ আর ৬এস এর মতো হয়ে আসছে আইফোন ৭। বাজারে আইফোনের আগের মডেলগুলো নিয়ে অ্যাপলের বড় পরিকল্পনা রয়েছে যা কিনা বিশ্ব বাজারে এর ব্যাপক চাহিদার দিকটি প্রমাণ করে। আর এ কারণে কোপার্টিনো টেক কোম্পানি নতুন আইফোনের অবশিষ্ট কাজ খুব শীঘ্রই শেষ করতে দৃষ্টি দিয়েছে।
অবশ্য, হেডফোন জ্যাক সরিয়ে ফেলার খবরটি প্রথম থেকেই বিতর্কিত হলেও ওয়াটারপ্রুফ পণ্যের জন্য সবকিছু এড়িয়ে সিদ্ধান্তটি পাকাপুক্ত করল প্রতিষ্ঠানটি। কারণ ডিভাইসে পানি ঢোকার সবচেয়ে সহজতম জায়গা এটি। আরেকটি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে এজন্য ডিভাইস দ্রুত নষ্ট হওয়া।
এদিকে ওয়াটারপ্রুফ প্যাটেন্ট সম্পর্কে বলা হচ্ছে, যেহেতু পানি প্রতিরোধক ডিভাইস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। তাই এর শুরুটা হবে আইফোন ৭ দিয়ে।
আর নিজস্ব পণ্য থেকে সার্বজনীন প্রযুক্তিগুলো সরিয়ে ফেলা অ্যাপলের জন্য নতুন কিছু নয়। যেমন অপসারণযোগ্য ব্যাটারি ছাড়াই আইফোন বেশ ভালো করছে। ইতিমধ্যেই ফ্লপি ডিস্ক , ল্যাপটপ থেকে ডিভিডি ড্রাইভ অপসারণ সহ সাফারি ব্রাউজারে অ্যাডোবি ফ্ল্যাশের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
এ সবকিছু বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছে, এটা অ্যাপলের নিজস্ব মতবাদে চলার সাহস এবং পণ্যের প্রচার ও প্রসারে বিশ্বজুড়ে প্রচুর পরিমাণ পৃষ্ঠপোষকতা করছে তারা।
আর প্রযুক্তি দুনিয়ার মানুষগুলো বলছে, হেডফোন জ্যাক সরিয়ে নেয়ার মানেই কি আইফোন ৭ -কে ওয়াটারপ্রুফ করা।