ঈদ উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাট, পশু পরিবহণ, গার্মেন্ট শিল্প, বিপণীবিতান, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) র্যাবের এক বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. ঈদুল-আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন গরুর হাটে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে র্যাব সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউনিফর্মে নিরাপত্তা প্রদান করবে। একই সঙ্গে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি এবং টিকেট কালোবাজারীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা শহরের বড় বড় কোরবানির পশুর হাটসহ দেশে বিভিন্ন ফেরী ঘাটসমূহে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া ঈদ পরবর্তীতে যাতে পশুর চামড়া চোরাচালানের মাধ্যমে বিক্রি না হয় সেদিকে র্যাবের বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, শহরে প্রবেশ/বাহির পথসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পেট্রোল জোরদার করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে মোবাইল চেকপয়েন্ট স্থাপন করে তল্লাশি পরিচালনাসহ ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রতিরোধকল্পে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং স্থানভেদে মোটরসাইকেল টহল/পায়ে চলা টহল দল নিয়োগ করা হবে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাব ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিকভাবে বিভিন্ন বাস, ট্রেন, লঞ্চ স্টেশন ও বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক স্যুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়াও যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধকল্পে র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে বিশেষ ষ্ট্রাইকিং রির্জাভ ফোর্স ষ্ট্যান্ডবাই থাকবে।
পাশাপাশি র্যাব আজ (৩ সেপ্টেম্বর) হতে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ঈদগাহ্সহ সারাদেশে সাদা পোশাক ও র্যাবের ইউনিফর্মধারী নিরাপত্তা দল মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় থাকবে। অপরদিকে জাতীয় ঈদগাহ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সিসিটিভি/ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং সার্বক্ষণিক সমগ্র কার্যক্রম সদর দপ্তর কর্তৃক মনিটর করা হচ্ছে।