রংপুরে গরুর হাট জমজমাট, ভালো দাম পাচ্ছেন খামারিরা

রংপুরে গরুর হাট জমজমাট, ভালো দাম পাচ্ছেন খামারিরা

ভারতীয় গরুর কারণে গত কয়েক বছর ধরে দেশীয় খামারিরা লাভের মুখ না দেখলেও এবারে ভাল দাম পাচ্ছেন তারা।

 

রংপুর নগরী ও জেলাজুড়ে এবার বসেছে ৭৭টি ছোট বড় গরুর হাট।

এর মধ্যে লালবাগের হাট, মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী, শুকুরের হাট, বৈরাতিহাট, বালারহাট, ছড়ান হাট, জায়গীর হাট, রাণীপুকুর হাট ও মাঠেরহাট, তারাগঞ্জ উপজেলার তারাগঞ্জ হাট, পীরগঞ্জের হাট, বদরগঞ্জের হাট, পীরগাছার হাট, কাউনিয়ার হাট, গঙ্গাচড়ার হাট উল্লেখযোগ্য।

এসব হাট পরিদর্শন করে কোনো হাটে ভারতীয় গরু দেখা যায়নি। দেশীয় ছোট-বড় গরুতে কানায় কানায় পূর্ণ হাটগুলোর প্রতিটি গলি। কয়েক বছরের লোকসান পুষিয়ে এবারে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন খামারিরা।
রংপুরে গরুর হাট জমজমাট, ভালো দাম পাচ্ছেন খামারিরা
লালবাগের হাটে আসা খামারি সাহেব আলী  জানান, তাঁর খামারে ৪টি গরু ছিল। সবগুলো ইতোমধ্যে বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে বলে জানালেন তিনি।

আরেক খামারি আমিনুর ইসলাম জানান, ভারতীয় গরু না আসায় দেশী গরুর বেশ কদর উঠেছে হাটে। বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি ক্রেতাদের মাঝে।

গরু বিক্রেতা পার্বতীপুরের শামিম মিয়া  বলেন, আমার ২টি গরুর একটিকে লালবাগের হাটে এনেছি। ক্রেতারা দাম কম বলছে। আমি দাম চেয়েছি দেড় লাখ টাকা। এই গরু লাখ টাকার উপর বিক্রয় করতে না পারলে আমার লোকসান হবে।

ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে অনেক গরু উঠেছে। দাম গত বছরের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে, রাসায়নিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা গরুও বেশ উঠেছে হাটে। অবশ্য ছোটখাটো গরুর চাহিদা বেশি।

রংপুর লালবাগের হাট ইজারাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন ও ইজারাদার আবদুল্লাহ আল কাফি বাংলানিউজকে বলেন,এ বছর হাটে অনেক গরু উঠেছে। জমে উঠেছে এই হাটটি। তবে দুই এক দিনের মধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন,দেশী গরুর আমদানি এ বছর বেশি। এছাড়া কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুও কম। প্রশাসনের তরফে নজরদারিতে রাখা হয়েছে গরুর হাটগুলোকে।

তিনি আরো বলেন, লালবাগের হাটে রাত ১টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। ক্রেতাদের কোন প্রকার অসুবিধা হচ্ছে না।সর্বক্ষণ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রয়েছে।

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বাংলানিউজকে জানান, জেলা ও উপজেলায় কোরবানির গরুর হাটগুলোতে সাদা পোশাকের পুলিশ সর্বক্ষণ নজরদারি করছেন।

‌এছাড়া প্রতিটি ঈদের হাটে জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment