ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ বাংলাদেশের ৯০ টি গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্রঈদুল আজহা। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলায় রয়েছে ৪০টি গ্রাম এবং মাদারীপুরের ৪ উপজেলায় রয়েছে ৫০ গ্রাম।
প্রায় এক শতাব্দী ধরে ওই সব গ্রামে মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করে আসছেন। ওইসব মুসল্লিরা ইসলামের চার মাযহাবের মধ্যে হানাফি মাযহাবের অনুসারী বলে জানা গেছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর বলেন, মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামে প্রায় ৮৭ বছর ধরে এভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
যেসব গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলঁচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেনাগাঁও, বাশারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোল্লা, হাঁসা ও চরদুখিয়া।
এছাড়া মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী ও গ্রাম।
মাদারীপুরের যে সকল স্থানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে- মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, জাজিরা, মহিষেরচর, জাফরাবাদ, চরকালিকাপুর, তাল্লুক, বাহেরচরকাতলা, চরগোবিন্দপুর, আউলিয়াপুর, ছিলারচর, কুনিয়া, মস্তফাপুর, কালকিনির সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, আলীনগর, বাঁশগাড়ী, খাসেরহাট, আউলিয়াপুর, রামারপোল, ছবিপুর, ছিলিমপুর, ক্রোকিরচর, সিডিখান, কয়ারিয়া, রমজানপুর, বাটামারা, রাজারচর।
শিবচরের পাচ্চর, স্বর্ণকারপট্রিসহ মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার ৫০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আজ ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।
এর ফলে চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছে।