জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের মাজারকে ‘নকল কবর’ আখ্যায়িত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সেখান থেকে এই কবর সরানো ছাড়া কোনো পথ নেই।
শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে স্থাপিত বিজয় মঞ্চে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “আজ চারদিক থেকে প্রশ্ন উঠছে- জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় যে কবর সেখানে তার (জিয়াউর রহমান) লাশ আছে কি না। সেখানে তার লাশ নেই।
“এই সার্কিট হাউজে (চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ) তাকে হত্যা করা হয়েছিল। সঠিক বিচার হয়নি, আমরা বিচার চাই। কিন্তু জানা মতে, জিয়াউর রহমানের লাশ পাওয়া যায়নি। হত্যাকারীরা পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে পুঁতে রেখেছিল।”
মোজাম্মেল হক বলেন, “আজকে তারা জিয়ার মাজার বানিয়েছে। জিয়াউর রহমান তো রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন মারা গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুকালীন বা মৃতদেহের ছবি দেখান। ছবি দেখাতে না পারলে, তাহলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন এটা জিয়াউর রহমানের কবর। না হয় এতদিন যে মিথ্যাচার করেছেন এটাই জিয়ার মাজার বলে, সেটা ধোঁকাবাজি।”
“এই নকল কবর অবশ্যই অবশ্যই সরাতে হবে। অন্য কোনো পথ নেই।”
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের একাত্তরের ভূমিকারও সমালোচনা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আজ মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডারদের প্রতি সম্মান জানাই। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, ২৭ মার্চ তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, তার প্রতি ধিক্কার জানাই।
“কারণ তিনি বলেছিলেন ‘ওয়্যার কাউন্সিল’ করে মুক্তিযুদ্ধ করবেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করবেন না। এম এ জি ওসমানী বলেছিলেন, ওয়্যার কাউন্সিল হলে সেটা হবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বিশ্বের কোনো দেশ মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দেবে না।”
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুপার্ক করার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “শিশুপার্ক করার পর আতাউস সামাদসহ সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন- যেখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে দাঁড়িয়ে ইন্ধিরা গান্ধী ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন, যেখানে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, সেখানে কেন শিশু পার্ক?
ধামাকা অফার চলছে !BRAND BAZAAR এ LED / 3D/ Smart / 4K TV AC , 40- 65% ডিস্কাউন্ট !