https://www.youtube.com/watch?v=CAzCdtg6qBA
চিটাগং ভাইকিংসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তামিম ইকবাল ছাড়া এবারের বিপিএলে আর কেউ ছুঁতে পারেননি চারশ’ রান।
দুই নম্বরে আছেন দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া আরেক অধিনায়ক খুলনা টাইটানসের মাহমুদউল্লাহ। তিন নম্বরে রানার্সআপ রাজশাহী কিংসের সাব্বির রহমান। চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের কুমার সাঙ্গাকারা চতুর্থ এবং রংপুর রাইডার্সের মোহাম্মদ শাহজাদ পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
১৩ ইনিংসে ৪৩.২৭ গড়ে ৪৭৬ রান আসে তামিম ব্যাট থেকে। দেশ সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এই আসরে স্পর্শ করেন ২০১২ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে শামসুর রহমানের এক আসরে সর্বোচ্চ ছয়টি অর্ধশতকের রেকর্ড। মাত্র ১০ রানের জন্য তামিম স্পর্শ করতে পারেননি এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। প্রথম আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে ৪৮৬ রান করে রেকর্ড এখনও আহমেদ শেহজাদের অধিকারে।
সর্বোচ্চ ৭৫ রান করা তামিমই খেলেছন চলতি আসরে সবচেয়ে বেশি ৪১১ বল। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ১১৫.৮১। সর্বোচ্চ ৫৩টি চার হাঁকানোর কৃতিত্ব তারই।
বিপিএলের চার আসর মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন তামিম (১ হাজার ২৬)। তার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল মুশফিকুর রহিম (১ হাজার ১৭২) ও মাহমুদউল্লাহ (১ হাজার ৮৮)।
দুটি অর্ধশতকে ৩৩ গড়ে ৩৯৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ১০টি উইকেটও। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। খুলনার টপঅর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় প্রায় সব ম্যাচেই দলকে লড়াইয়ে রাখতে সংগ্রাম করতে হয়েছে এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে।
শেষ ওভারের জাদুকরী বোলিংয়ে দলকে দুবার এনে দিয়েছেন দারুণ জয়। বাঁচা-মরার ম্যাচে ঢাকাকে হারাতে খেলেছেন ৫০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। এই আসরে ১১৮.২০ স্ট্রাইক রেটে রান সংগ্রহ করা ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সেরা ৬২ রান।
চতুর্থ আসরের একমাত্র শতকটি এসেছে সাব্বিরের (১২২) ব্যাট থেকে। নিজের প্রিয় সংস্করণে এবারই তরুণ এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান পেয়েছেন প্রথম তিন অঙ্কের দেখা। ২৬.৯২ গড়ে সাব্বিরের রান ৩৭৭। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল সাঙ্গাকারা দুটি অর্ধশতকসহ ২৮.৪৬ গড়ে করেন ৩৭০ রান। ১১৫.৬২ স্ট্রাইক রেটে রান সংগ্রহ করা এই শ্রীলঙ্কান গ্রেটের সর্বোচ্চ ৬৬। গত আসরে ঢাকার হয়েই ৩৪৯ রান করে হয়েছিলেন সেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান শাহজাদ দুটি অর্ধশতকসহ ৩৮.৮৮ গড়ে করেন ৩৫০ রান। তার সেরা অপরাজিত ৮০ রান। ১১০.০৬ স্ট্রাইক রেটে রান সংগ্রহ করেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
২৬.৬৯ গড়ে ৩৪৭ রান এসেছে মেহেদী মারুফের ব্যাট থেকে। ঢাকা ডায়নামাইটসের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই হাঁকিয়েছেন টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২০টি ছক্কা। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান চমৎকার পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তুতি ক্যাম্পের বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন।
মারুফের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রান। ন্যূনতম তিনশ’ রান করেছে এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে বেশি- ১৩৫.৫৪। মারুফের চেয়ে স্ট্রাইক রেটে খানিকটা পিছিয়ে মুশফিকুর রহিম (১৩৪.৭৮)। তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করা বরিশাল বুলসের অধিনায়ক ৩৭.৮৮ গড়ে করেন ৩৪১ রান।
এছাড়া তিনশ’ রানের বেশি করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মারলন স্যামুয়েলস (৩৩৪), রাজশাহীর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক (৩৩১), রংপুরের মোহাম্মদ মিঠুন (৩২০) ও ঢাকার মোসাদ্দেক হোসেন (৩০৪)।
একশ’ রানের বেশি করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গড় স্যামুয়েলস (৬৬.৮০) ও রংপুরের জিয়াউর রহমানের (৬৪ গড়ে ১২৮ রান)।
৯০ রানের বেশি করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেড়শ’ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেট আছে কেবল সিকুগে প্রসন্ন (১৮৭.৫০), এভিন লুইস (১৭৯.৪৫), ড্যারেন স্যামি (১৭৪.৬৮) মোহাম্মদ নবি (১৭৪.২৪) ও আন্দ্রে রাসেলের (১৫২.৪৫)।
ধামাকা অফার চলছে !BRAND BAZAAR এ LED / 3D/ Smart / 4K TV AC , 40- 65% ডিস্কাউন্ট !