পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম আজ

আজ ১১ রবিউস সানি, পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। এই দিনে বিশ্বের সকল সূফী মতবাদে বিশ্বাসী মুসলমানদের নয়নমণি বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (র.) ৫৬১ হিজরি ইহকাল ত্যাগ করেন। দিবসটি তাই বিশেষ তাত্পর্যমণ্ডিত।

সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর (র.) ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারোর ফাতেহা শরিফকে বোঝায়।

বাংলাদেশের আকাশে গত ১৯ ডিসেম্বর, ১৪৩৯ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যায়। এই হিসেব অনুযায়ী আজ শনিবার সারা দেশে পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সন্ধ্যা পৌণে ৬টায় (বাদ মাগরিব) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।

হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) ৪৭০ হিজরিতে ইরাকের জিলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সায়্যেদ আবু সালেহ (র.) একজন বিখ্যাত বুজুর্গ ছিলেন। মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (র.) একজন বিদুষী রমণী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে পবিত্র কোরআনের আঠারো পারা পর্যন্ত মুখস্থ করেন। অল্প বয়সেই সমস্ত কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হন। বাবার কাছে সূফীবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। বাবার মৃত্যুর পর ১৮ বছর বয়সে তত্কালীন মুসলিম দর্শনের বিদ্যাপীঠ মাদরাসায়ে নিজামিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ২৪ থেকে ৯১ বছর অর্থাৎ মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত অবিরাম ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন।

তিনি কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ধর্মীয় সভা-সমাবেশে তিনি মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আত্মউন্নতির জন্য উপদেশ দান করেছেন। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গুনিয়াতুত ত্বলেবীন, সিররুল আসরার, আল ফাতহুর রব্বানী, ফাতহুল গুয়ুব এবং আল-কাসিদা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ। এই সমস্ত গ্রন্থ পৃথিবীর ২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

এদিকে, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালন করা নিয়ে মুসলমানদের মধ্য মতবিরোধ রয়েছে। অধিকাংশ আলেম ও ফুকাহায়ে কেরাম একে বিদআত বলে থাকেন এবং এটি পালনে নিষেধ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment