সূরা আম্বিয়ায় যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে

সূরা আম্বিয়ায় যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে

পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বেশ কিছু দোয়া বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে নবীদের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা অনেক দোয়া আছে আবার কিছু দোয়া আল্লাহ তায়ালা নিজেই বান্দাকে শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে কোরআনের সূরা আম্বিয়ায় বর্ণিত কিছু দোয়া তুলে ধরা হলো— দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির দোয়া اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ উচ্চারণ : আন্নি মাছছানিয়া-যুররু ওয়া আংতা আরহামুর-রাহিমীন অর্থ :  ‘আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’। (সূরা আম্বিয়া, (২১), আয়াত, ৮৩) لَّاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ উচ্চারণ :…

বিস্তারিত

বদর যুদ্ধের বন্দীদের সঙ্গে নবীজি সা.-এর আচরণ

বদর যুদ্ধের বন্দীদের সঙ্গে নবীজি সা.-এর আচরণ

বদর যুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানেরা বিজয়ী হন। ১৪ জন সাহাবি শাহাদত বরণ করেন এবং ৭০ জন কাফির মারা যায়। ৭০ জন কাফিরকে বন্দী করে মদিনায় নিয়ে আসা হয়। রাসূল সা. মদিনায় ফিরে সাহাবিদের সঙ্গে বন্দীদের ব্যাপারে পরামর্শ করেন। আবু বকর রা. নিবেদন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সা.! এরা সবাই আমাদের চাচাত ভাই, বংশীয় লোক এবং আত্মীয়। আমার মতে মুক্তিপণ হিসেবে কিছু কিছু অর্থ নিয়ে এদেরকে মুক্তি দেয়া উচিত। এতে আমাদের সাধারণ তহবিল যথেষ্ট অর্থ সঞ্চিত হবে। পক্ষান্তরে অল্প দিনের মধ্যে এদের সবার পক্ষে ইসলাম গ্রহণ করাও সম্ভব হবে। তখন…

বিস্তারিত

রমজানে মাতৃভূমি রক্ষায় যে দুই যুদ্ধ করেছিলেন মহানবী সা.

রমজানে মাতৃভূমি রক্ষায় যে দুই যুদ্ধ করেছিলেন মহানবী সা.

পবিত্র রমজান হলো কুপ্রবৃত্তি ও শয়তানি শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার মাস। রমজানে মুসলিমরা যেমন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে, তেমনি পৃথিবীর অশুভ শক্তির বিরুদ্ধেও তারা অস্ত্রধারণ করেছে। রমজান মাসে মহানবী সা. দুটি যুদ্ধ করেছেন, বদর ও মক্কা বিজয়। এর প্রথমটি তিনি করেছিলেন মক্কার আগ্রাসী শক্তির হাত থেকে মদিনা রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য আর দ্বিতীয়টি করেছিলেন পৌত্তলিকদের কবজা থেকে পবিত্র ভূমি মক্কাকে উদ্ধার করার জন্য। মাতৃভূমির প্রতি নবীজি সা.-এর ভালোবাসা মহানবী সা. মাতৃভূমিতে শত অত্যাচার ও অবিচারের শিকার হওয়ার পরও দেশত্যাগের সময় অশ্রু বিসর্জন করেন। তিনি বলেন, আল্লাহর…

বিস্তারিত

রোজাদারকে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে পুরস্কার দিবেন

রোজাদারকে মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে পুরস্কার দিবেন

পবিত্র মাহে রমজান অত্যন্ত মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ। এ মাস সিয়াম সাধনা ও তাকওয়ার মাস, কল্যাণ ও বরকতের মাস, রহমত, মাগফিরাত এবং জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি লাভের মাস। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ মাসটিকে বহু ফজিলত ও মর্যাদা দিয়ে অভিষিক্ত করেছেন। মুসলমানদের জন্য বছরের এ মাসটিই এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় অশেষ পুণ্য লাভের। তাই এ মাসের গুরুত্ব এত বেশি। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা পালন করে। (সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫) এ মাসে যারা সঠিকভাবে সিয়াম পালন বা…

বিস্তারিত

যাদের ফিতরা দিলে সওয়াব বেশি

যাদের ফিতরা দিলে সওয়াব বেশি

ফিতরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে না থাকলেও এটির গুরুত্বও অনেক। জাকাত অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আর ফিতরা রমজান মাসে রোজাদারদের ভুল-ত্রুটির কাফ্ফারা ও সাদাকাহ সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়। সদকাতুল ফিতর’ দুটি আরবি শব্দ। সদকা মানে দান, আর ফিতর মানে রোজার সমাপন বা ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা সদকাকেই সদকাতুল ফিতর বলা হয়। হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) জাকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথাবার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রুটিবিচ্যুতি হয়েছে তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকীনদের খাদ্য প্রদানের জন্য। ঈদের নামাজের পূর্বে আদায়…

বিস্তারিত

রমজান যে বিশেষ বরকত নিয়ে আসে মুমিনের জীবনে

রমজান যে বিশেষ বরকত নিয়ে আসে মুমিনের জীবনে

প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ঈমানের পর গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আমল হলো প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। নামাজের পরই সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতেক্যের ওপর বছরে এক মাস রোজা রাখা ফরজ। রমজানে রোজার গুরুত্ব আল্লাহর কাছে সব থেকে বেশি। একবার বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা রা. বলেছিলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, আমাকে অতি উত্তম কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন।’ রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ এর সমমর্যাদার আর কোনো আমল নেই। (নাসায়ি) রমজানের পুরো মাসটি মুমিনের জীবনে বরকত বয়ে আনে। এ মাসের প্রত্যেক দশকে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য বিশেষ তিনটি পুরস্কার রেখেছেন। পুরো মাস…

বিস্তারিত

চাঁদ দেখে রোজা রাখার গুরুত্ব

চাঁদ দেখে রোজা রাখার গুরুত্ব

আরবি বা ইসলামি বর্ষপঞ্জির মাসগুলো শুরু হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা, ঈদ, কোরবানির দিন তারিখ নির্ধারিত হয় চাঁদ দেখার পর। অধিকাংশ আরবি মাস ২৯ অথবা ত্রিশদিনের হয়ে থাকে। তাই রমজানের শুরুর দিনক্ষণ জানতে শাবান মাস শেষে রমজানের চাঁদ দেখার এবং চাঁদ উঠার সঠিক খবরের অপেক্ষায় থাকেন পুরো বিশ্বের মুসলমানেরা। আবার রমজানের শেষে ঈদ পালন করা হয় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। রোজা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল চাঁদ দেখে রোজা রাখা এবং চাঁদ দেখে রোজা ভাঙা ও ঈদ পালনের বিষয়টি মূলত হাদিসের নির্দেশনা ও…

বিস্তারিত

এ বছর রোজা কয়টি হতে পারে জানাল আমিরাত

এ বছর রোজা কয়টি হতে পারে জানাল আমিরাত

পবিত্র রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আগামী মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে বলে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসকে জানিয়েছে জ্যোর্তিবিদরা। তারা আরও বলেছে, এ বছর রোজা ৩০টি হবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য ৬দিন ছুটি পাবেন। তবে রজমান শুরুর বিষয়টি নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর। জ্যোর্তিবিদরা বলছেন, আগামী ১১ মার্চ খালি চোখেই রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। সে অনুযায়ী ১২ মার্চ থেকে পবিত্র রোজা শুরু হবে। দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপের পরিচালক খাদিজাহ আহমেদ খালিজ টাইমসকে বলেছেন, জ্যোতির্বিদ্যা ম্যাপ অনুযায়ী, ১১ মার্চ অনেক অঞ্চলে খালি চোখে অর্ধচন্দ্র…

বিস্তারিত

পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত

পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদত

পবিত্র রমজান মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন।আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন : বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়।সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম। [সূরা ইউনুস : ৫৮] পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা।যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেন : তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফজিলত বর্ণনা করে বলতেন…

বিস্তারিত

রমজানের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত?

রমজানের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত?

রমজানের প্রস্তুতি বলতে সাধারণত আমরা কী বুঝি? আমরা বুঝি ধুমধাম বাজার ঘাট করা, বাড়তি খাবার সঞ্চয় করা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আগে আগে কিনে রাখা ইত্যাদি। টিভি চ্যানেলগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রাম রিলিজের প্রস্তুতিতে। কোন দিন কী ধরণের প্রোগ্রাম রিলিজ করা যায়, কোন অতিথিকে ইনভাইট করা যায়? তাদের নাম সাজানো, প্রোগ্রামগুলোকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার নানা রকমের প্রচেষ্টা। অন্যদিকে মাদরাসাগুলোতে আয়োজন করা হয় অবসরকালীন বিভিন্ন কোর্স। কেউ ইংরেজি কোর্স, কেউ আরবি কোর্স, কেউবা নাহু-সরফের কোর্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রমাজানুল মোবারক মাসটি একটি আধ্যাত্মিক জার্নি। তাই এই…

বিস্তারিত