নবজাতকের কানে আজান দেওয়া হয় কেন?

নবজাতকের কানে আজান দেওয়া হয় কেন?

মুসলিম নবজাতকের জন্মের পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রথমেই তার কানে আজান দেওয়া হয়। শিশুর কানে  আজান ও ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব। এ ব্যাপারে বেশির ভাগ ওলামায়ে কেরাম একমত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তার নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর কানে আজান দিয়েছিলেন। উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু রাফি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা যখন আলী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ছেলে হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কানে নামাজের আজানের ন্যায় আজান দিয়েছিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস,  ৫১০৫) আরেক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ…

বিস্তারিত

মুক্তির রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত

মুক্তির রজনী পবিত্র লাইলাতুল বরাত

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান প্রতিপালকের যিনি মানুষকে গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কিছু সময়কে নির্ধারিত করেছেন, যেন তারা সে সময়ে মহান প্রতিপালক’কে প্রাণভরে ডাকতে পারে ও তাদের পাপ মাফ করাতে পারে। আর প্রতিপালকের প্রিয় পাত্র হতে পারে। এই নির্দিষ্ট সময়গুলোর মধ্যে মহিমান্বিত, তাৎপর্যমন্ডিত, ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় রাত শবে বরাত। শবে বরাত শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীতে পালিত হয়। রাসুল (সা:)-এ মহিমান্বিত রাতকে ‘লাইলাতুন্ নিসফি মিন শাবান’ বা ১৫ শা’বানের রাত বলেছেন। ফার্সি শব্দ ‘শব’ অর্থ রাত/রজনী। আর বারাআত অর্থ মুক্তি, নিষ্কৃতি, অব্যাহতি, পবিত্রতা ই্যাদি। শবে বরাতের শাব্দিক অর্থ হল- মুক্তি, নিষ্কৃতি…

বিস্তারিত

জুমার দিন যেসব আমলে গুনাহ মাফ হয়

জুমার দিন যেসব আমলে গুনাহ মাফ হয়

ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ দিনের বিশেষ কিছু আমলে মহান আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তবে আমলগুলোও করতে হয় বিশেষ মুহূর্তে। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেসব বিশেষ মুহূর্ত ও বিশেষ আমলগুলো বর্ণনা করেছেন। সেই আমলগুলো কী? ১. জুমার দিনের বিশেষ মর্যাদা আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো—এক. আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। দুই. আল্লাহ তাআলা এই দিনে…

বিস্তারিত

মানুষকে যেভাবে ভালোবাসতে বলে ইসলাম

মানুষকে যেভাবে ভালোবাসতে বলে ইসলাম

প্রেম-ভালোবাসা, দয়া-মায়া আল্লাহর সৃষ্টি। ভালোবাসার আরবি প্রতিশব্দ মহব্বত। অর্থ: হৃদ্যতা, আন্তরিকতা, আসক্তি, প্রেম, প্রণয় ইত্যাদি। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা-ভক্তি নিয়ে সমাজবদ্ধ হয়ে থাকবে—এটাই ইসলামের কাঙ্ক্ষিত বিষয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে,ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহে মহব্বত পয়দা করে দিলেন। অতঃপর তোমরা তার অনুগ্রহে পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে গেলে।’ (আলে ইমরান: ১০৩) মানুষকে ভালোবাসতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। হাদিসে এসেছে, ‘এক ব্যক্তি তার কোনো (মুসলমান) ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অন্য গ্রামে রওনা হয়, পথে আল্লাহ…

বিস্তারিত

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও ইবাদত!

পবিত্র শাবান মাসের ফজিলত ও ইবাদত!

ইসলাম ধর্মে চন্দ্রমাসের মধ্যে শাবান মাস হলো বিশেষ ফজিলত পূর্ণ। এ মাসে রয়েছে লাইলাতুল বরাতের মতো অত্যন্ত বরকতময় রজনী। যাকে বলা হয় মাহে রমজানের আগমনী বার্তা। শাবান মাস মূলত পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস। প্রতিবারের মতো শাবান মাস মুসলমানদের কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমান্বিত রমজান মাসের সওগাত নিয়ে আসে। রাসূলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি বেশি নফল রোজা, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও নামাজ আদায় করে মাহে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘নবী করিম (সা.) কখনো নফল রোজা রাখতে শুরু করলে আমরা বলাবলি…

বিস্তারিত

জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে যে ৪ হাদিসে

জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে যে ৪ হাদিসে

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এদিনের সওয়াব-মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও আজহার মতো। মুসলমানদের কাছে এ দিন অপরিসীম ফজিলতের। আল্লাহ তায়ালার কাছে জুমার গুরুত্ব এত বেশি যে, পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝ। এরপর নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো, আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ করো এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমা, (৬২),…

বিস্তারিত

ওয়েটারকে বখশিশ দেয়া কি বৈধ?

ওয়েটারকে বখশিশ দেয়া কি বৈধ?

উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আবদুল মালিক প্রশ্ন: আমাদের দেশের হোটেলগুলোতে খাবার পরিবেশনকারী ওয়েটারদেরকে বখশিশ দেয়ার প্রচলন আছে। শুনেছি, ওয়েটারদেরকে বখশিশ হিসেবে যে টাকা দেয়া হয়, তা নাকি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। হুজুরের কাছে জানতে চাই, আসলেই কি উক্ত টাকা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত? তা দেয়া কি নাজায়েজ? জানিয়ে বাধিত করবেন। রফিক- মুলাদী, বরিশাল উত্তর: বর্তমানে হোটেল ওয়েটারদেরকে সাধারণত যে বখশিশ দেয়ার রেওয়াজ আছে, কিছু শর্ত সাপেক্ষে তা দেয়া এবং গ্রহণ করা জায়েজ, শর্তগুলো নিম্নরূপ: ১. বখশিশের কারণে সাধারণভাবে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সুবিধা নেয়া যাবে না। ২. বখশিশ দানকারীকে বেশি সুবিধা দেয়া হয়, না দিলে…

বিস্তারিত

শীতকালে পৃথিবীতে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়

শীতকালে পৃথিবীতে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়

শীতকালে রয়েছে বিশেষ ইবাদত অনেকের কাছে শীতকাল প্রিয় ঋতু। শীতকালে পৃথিবীতে আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। শীতকালে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার কৃপায় জমিনে জন্মে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি। স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায় টাটকা শাকসবজি। শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ব্রোকলি, গাজর, শালগম, টমেটো, শিম, চীনা বাঁধাকপি, লাল বাঁধাকপি, ফ্রেঞ্চবিনসহ আরো নানা সবজি! এর সঙ্গে রয়েছে লালশাক, পালংশাক, ঢেঁকিশাক, মুলাশাক ইত্যাদি। আর এ সব কিছুই আল্লাহ তায়ালার অশেষ দান। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমি তো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। অতঃপর মাটিকে বিদীর্ণ…

বিস্তারিত

মানুষের রিজিক কমে যায় যেসব কারণে

মানুষের রিজিক কমে যায় যেসব কারণে

রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্তও হালাল রিজিক। হালাল রিজিকের জন্যই মানুষ এত পরিশ্রম করে। মানুষ অনেক সময় ভালো ও পর্যাপ্ত রিজিক ভোগ করলেও হঠাৎ কোনো এক অদৃশ্য কারণে রিজিক কমে যেতে শুরু করে। কিন্তু কেন মানুষের রিজিক কমে যায়? মানুষের রিজিক কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আল্লাহ কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি বলো! নিশ্চয় আমার রব যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সম্প্রসারিত করে দেন আর যাকে ইচ্ছা তার রিজিক সংকুচিত করে দেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।’ (সুরা সাবা, আয়াত: ৩৬)। বেশ কিছু কারণে মানুষের…

বিস্তারিত

থার্টি ফার্স্ট নাইট সম্পর্কে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইংরেজি নতুন বর্ষকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয় থার্টি ফার্স্ট নাইট। এদিন রাতে পশ্চিমাদের আয়োজনের কোনো শেষ নেই। বাংলাদেশেও থার্টি ফার্স্ট নাইট নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, আলোচক ও সামাজিক সক্রিয় কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ যুবক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে আবেগঘন ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যে জাতিকে ২শ’ বছর গোলাম বানিয়ে রেখেছে ইংরেজরা। আমরা তাদের কালচারকে টাকা-পয়সা দিয়ে আমদানি করে প্রোমোট করি, সেটাকে আমরা ডেভেলপ করি। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আমাদের কী হতে পারে? নতুন বছরের সূচনা যদি আমাদের…

বিস্তারিত