কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ কাঁপছে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল

কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ কাঁপছে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল
গোলাম মোস্তফা লাভলু, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের ন্যায় প্রচন্ড শীত, সেই সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরা শ্যামনগরের জনজীবন এখন চরম দূর্ভোগে পড়েছে। আকস্মিক ভাবে গত তিন প্রচন্ড শীত সেই সাথে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যে কারনে পশু-পাখি ও ছিন্নমূল মানুষের দুর অবস্থা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষেরা ঘর থেকে কাজে বের হতে পারছেনা ফলে তাদের শ্রম দৈনিক আয়ের উপর প্রভাব পড়ছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬টি ইউনিয়নই তথা কৈখালী, রমজাননগর, মুন্সীগঞ্জ, গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালীনি, এ ছাড়া আটুলীয়া ও নূরনগরেও আংশিক সুন্দরবনকে স্পর্শ করে আছে। সুন্দরবন দ্বারা বেষ্টিত উপজেলার অত্র ইউনিয়নের মানুষগুলো খুব স্বাভাবিক ভাবেই সুন্দরবনের আয়ের উপর নিভর্রশীল।
কনকনে শীতে কাঁপছে দেশ কাঁপছে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলএখানকার জেলে, মৌয়ালী, বাওয়ালী ছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের পেশায় শ্রমজীবী মানুষ যারা প্রচন্ড ঠান্ডা ও শীতের কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এলাকা থেকে এক শ্রেনীর মানুষ মাছ ধরা ট্রলার, নৌকা নিয়ে চলে যায় সাগরে যারা সারা বছরই সাগরে মাছ ধরে এই ঠান্ডা শীতে সেই সাথে কুয়াশার সংমিশ্রণে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে উপজেলা সদরের সন্নিকটে অবস্থিত ইউনিয়নের সাধারন মানুষগুলোও পড়েছে চরম বিপাকে, ঠান্ডা শীতের সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ার সংমিশ্রণ সেই সাথে ভোর হতে রয়েছে ঘন কুয়াশা বেলা ১১টার আগে সুর্যের মুখ দেখা যায়না, দুপুরের দিকে একটু যেমন তেমন দেখা গেলেও অল্পক্ষনের মধ্যেই তা মিলিয়ে যায়। পুরো ডিসেম্বরে যেখানে শীতের ছিটেফোঁটা ছিল না সেখানে আজ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এর ফলে ৫০ বছর পর দেশের ইতিহাসে এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
সোমবার ৮ জানুয়ারি দেশের উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি  তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫০ বছরের ইতিহাসে আজকের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন। বাংলাদেশে এর আগে এত কম তাপমাত্রার কোনো রেকর্ড নেই। আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান জানান, ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তথ্য আমরা পেয়েছি। এটা ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, শৈত্যপ্রবাহ এখনো পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে দুএকদিনের মধ্যে কমতে শুরু করবে। গতকয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় সব জায়গাতেই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারন মানুষ। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্য প্রবাহের কারণে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গোটা দক্ষিণ জনপদ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment