ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের রেসে এগিয়ে আছেন যারা

ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের রেসে এগিয়ে আছেন যারা

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন সম্মেলনের সম্ভাব্য এই তারিখ ঘোষণা করেন।

এ সময় জাকির হোসাইন বলেন, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকেন, সেহেতু তার সম্মতির ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে। আমরা নেত্রীকে জানাব এই দুই দিনের কথা। তিনি সম্মতি দিলে ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সম্মেলন হবে।’
এরপর থেকেই ছাত্ররাজনীতির মাঠ এখন উৎসবমুখর। পদ প্রত্যাশীরাও যার যার অবস্থান থেকে নিজেকে তুলে ধরার

তাই সম্মেলনকে সামনে রেখে পদ প্রত্যাশীরা এখন মাঠে সরগরম। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা সক্রিয় অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগ পরিমন্ডলে আলোচিত পদ প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান রনি, আল আমিন (ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি), রুহুল আমিন, সোহান খান, চৈতালী হালদার চৈতি, আদিত্য নন্দি,আরেফিন সিদ্দিক সুজন, জাহাঙ্গির আলম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে রয়েছেন দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, সায়েম খান ও শাহিদুল ইসলাম শাহেদ । সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে সৈকতুজ্জামান সৈকত, আশিকুল পাঠান সেতু, দারুস সালাম শাকিল, মশিউর রহমান শরিফ, বি এম এহতেশাম ও শেখ জসিম উদ্দিন পদ প্রত্যাশী।

বর্তমান কমিটিতে সম্পাদকদের মধ্যে : দেলোয়ার শাহজাদা (দপ্তর সম্পাদক), গোলাম রাব্বানী (শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক), আল নাহিয়ান খান জয় (আইন সম্পাদক), সাইফ বাবু (প্রচার সম্পাদক), ইয়াজ আল রিয়াজ (ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক), রাকিব হেসেন (কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক), এ বি এম হাবিবুল্লাহ বিপ্লব (পরিবেশ সম্পাদক), চিন্ময় রায় (ক্রীড়া সম্পাদক), মাজহারুল ইসলাম শামিম (প্রশিক্ষণ সম্পাদক) ও বরকত হোসেন হালদার (কৃষি সম্পাদক) পদ চাইছেন।

এছাড়া বর্তমান কমিটিতে সহ ও উপ সম্পাদকদের মধ্যে খাজা খায়ের সুজন, মেহজাবিন মুস্তাকিম জাবিন, মাহমুদল হাসান, খাদেমুল বাসার জয় ও এইস এম সাদ্দাম হোসেনও পদ প্রত্যাশী।

অপরদিকে ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নামও বেশ আলোচিত হচ্ছে।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, জেলা শাখার কার্যক্রম বুঝে উঠতেই নতুন নেতাদের দুই বছর সময় শেষ হয়ে যায়। আবার তারা যখন সবকিছু বুঝে দক্ষ হয়ে ওঠে তখন তাদের আরেক দফায় কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার বয়স ফুরিয়ে যায়। এ বিষয়ে একাধিক নেতা বলেন, জেলা ও উপজেলা নেতারা কেন্দ্রের চেয়ে সিনিয়র হলে সেখানে কেন্দ্রের কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ হয়। তাই তৃণমূলের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কিছুটা সিনিয়র ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষদের কেন্দ্রীয় নেতা করা উচিত।

এ কারণে পরিপক্ব নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্য বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি উঠেছে। তাই বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩১ করা হলে যে প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন তারা হলেন- কাজি এনায়েত (সহ-সভাপতি), আমিনুল ইসলাম (সহ-সভাপতি), ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পি (সহ-সভাপতি), মাকসুদ রানা মিঠু (সহ-সভাপতি), আবিদ আল হাসান (ঢাবি সভাপতি) ও চন্দ্র শেখর মন্ডল (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।

পদপ্রত্যাশী বেশ কয়েকচন নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এর মধ্যে সাংগঠনিক আশিকুল পাঠান সেতুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সাংগঠনিক মশিউর রহমান শরিফের ছাত্রত্ব নেই, সাংগঠনিক বি এম এহতেশামে ছাত্রত্ব নেই সাংগঠনিক শেখ জসিমের ছাত্রত্ব নাই, বরকত হোসেন হালদার হল থেকে বহিষ্কৃত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment