সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বে লড়বে দেশের ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ প্রতিযোগী চুয়েটে তিনদিনব্যাপী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘বাঁধনহারা-২’ শুরু

সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বে লড়বে দেশের ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ প্রতিযোগী চুয়েটে তিনদিনব্যাপী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘বাঁধনহারা-২’ শুরু

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ দ্বিতীয়বারের মত তিনদিনব্যাপী অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ‘বাঁধনহারা-২’ শুরু হয়েছে। ‘মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়’ শ্লোগানে চুয়েটের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জয়ধ্বনি’ উক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অদ্য ১৪ মার্চ (বুধবার), ২০১৮ খ্রি. বিকাল ৪ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালীর মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। জয়ধ্বনি’র উপদেষ্টা ও স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সজল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জয়ধ্বনি’র মডারেটর ও স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক জনাবা শায়লা শারমিন, ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান, জয়ধ্বনি’র এলামনাই ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, বর্তমান সভাপতি জনাব তানভীর হক তুহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জয়ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক জনাব রাকিব হাসান তমাল। র‌্যালীর পরপরই ক্যাম্পাসের গোল চত্ত্বরে শুরু হয় আকর্ষণীয় ফ্ল্যাশ-মব। যেখানে জয়ধ্বনি পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

এবারের প্রতিযোগিতায় চুয়েটসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। উৎসবের প্রথমদিন অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় (অভ্যন্তরীণ) প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে রয়েছে- ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী, স্কেচ ও পেইন্টিং প্রদর্শনী। এরপর সন্ধ্যায় বসে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত, নাচ, আবৃত্তি ও নাটক প্রতিযোগিতার আসর। এদিকে উৎসবের দ্বিতীয়দিন হবে মূল আকর্ষণ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ওইদিন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম প্রদর্শনী ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী ও সঙ্গীতশিল্পীগণ। এছাড়া সমাপনী দিনে থাকবে- জয়ধ্বনি পরিবারের থিয়েটার পরিবেশনা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, পুনর্মিলনী, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment