কুবিতে বাড়ছে ছিনতাই: শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

কুবিতে বাড়ছে ছিনতাই: শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তদের দ্বারা ছুরিকাঘাত ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। আহত ও ছিনতাইয়ের শিকার গাজী ফয়সাল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (নবম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় নিকটস্থ শালবন বিহারের পাশে তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।

 

আহত শিক্ষার্থী গাজী ফয়সাল আহমেদ জানান,‘বৃহস্পতিবার রাত ৮টার বাসে শহর থেকে ক্যাম্পাসের আসার পথে প্রয়োজনীয় কাজে আমি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এ নামি। কাজ শেষে হেঁটে ক্যাম্পাসের পাশেই শালবনের কাছে আমার মেসে যাচ্ছিলাম।

 

শালবনের কাছে আসামাত্রই একটি মোটরবাইক আমার সামনে আসে। বাইক থেকে দুইজন নেমে আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে আমার সাথে থাকা দুটি ফোন, মানিব্যাগ, এটিএমকার্ড, ব্যাগসহ সবকিছু নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাকে ছুরি দিয়ে কোমরের নিচে (নিতম্বে) আঘাত করে। তারা চলে যাওয়ার পরে একটি অটোগাড়িতে আসা কিছু মানুষ আমাকে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।’

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায়। ছিনতাইকারীদের দৌড়াত্ম যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। তাদের ধারণা শালবন বিহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় বেশ শক্তিশালী একটি ছিনতাইকারী দল আছে যাদের পেশা-ই ছিনতাই করা। যখন তখন যে কারও কাছ থেকে ফোন, ল্যাপটপ, মানিব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ধারালো অস্ত্রের মুখে কেড়ে নিয়ে যায় তারা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও ছিনতাইকারীদের কাছে আমরা একপ্রকার জিম্মি হয়ে আছি। যখন তখন ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কোন ভাবেই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন এই ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিত।’

 

একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রায়ই শালবনের আশেপাশে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সবসময় আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন কার কাছে থেকে কি নিয়ে যায় বলা যায়না। অনেক সময় ছাত্রীদেরকেও টিজ করে তারা। আমরা ভয়ানক নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত। পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমরা এই বিষয়ে কথা বলবো। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment