দোহারে পদ্মানদীর তীরজুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন,ভাঙন শঙ্কায় এলাকাবাসী

মাহবুবুর রহমান টিপু,বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা):-
দোহার উপজেলার মুকসুদপুর থেকে নয়াবাড়ী পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বালুব্যবসায়ীরা।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোন রকম সরকারি অনুমতির তোয়াক্কা না করেই রাজনৈতিক প্রভাবে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় শ্যালো মেশিন,বালু কাটার মেশিন ও ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে নদীর বুকচিরে বালু উত্তোলন করছে এই বালুখেঁকোরা।
দোহারে পদ্মানদীর তীরজুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন,ভাঙন শঙ্কায় এলাকাবাসীএদের মধ্যে অনেকে আবা মেঘুলা,নারিশা,জয়পাড়া,মৈনটঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বালুর পাহাড় স্তুপ করে ট্রাকের মাধ্যমে চড়া মূল্যে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।ফলে নদী তীরবর্তী জনবসতি এলাকাসহ কৃষি ও আবাদি জমি ভাঙনের আশংকায় ভীত হয়ে পড়েছেন নদীতীরবর্তী এলাকাবাসী।

সরেজমিনে উপজেলার নয়াবাড়ীর ধোয়াইর দেওয়ান বাড়ীর মোড়,কুসুমহাটির চরপুরুলিয়া,কর্তিকপুর-মাহমুদপুরের মৈনট,নারিশা,মুকসেদপুর,বিলাশপুর,লটাখোলাসহ ১০/১২টি পয়েন্টে চলছে জমজমাট মাটি-ড্রেজার ব্যবসা।
এসময়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন,রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক বালু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পদ্মা নদীতে ১০/১২টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে তীরবর্তী এলাকায় পাহাড় সমান বালুর স্তুপ তৈরী করে প্রকাশ্যে বালু বিক্রী করছে।অপর দিকে উপজেলার লটাখোলা বড় ব্রিজের নিচে,নারিশা পশ্চিমচর,মুকসেদপুর,বাশতলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে পাইপের সাহায্যে বালু তুলছে।
দোহারে পদ্মানদীর তীরজুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন,ভাঙন শঙ্কায় এলাকাবাসীঅনুসন্ধানে জানা যায়,শুকনো মওশুমে পদ্মানদীর উল্লেখিত পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছেন।এলাকাবাসী বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বার বার প্রশাসনকে জানালেও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা।এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে আরোও বলেন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে না জানিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে সেটা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না।

তারা বলেন শুকনো মৌসুমের কারণে নদীর পানি বর্তমানে কমে গেছে,তাই ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে প্রবল স্রোতের নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তখন বাড়িঘর ও আবাদি জমির নদী গর্ভে বিলিন হবার আশংকায় তারা রীতিমত প্রমোদ গুণছে। এছাড়াও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দোহারে পদ্মানদীর তীরজুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন,ভাঙন শঙ্কায় এলাকাবাসীএই বিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সিরাজুল ইসলাম জানান,বালু মহাল দেখ-ভালের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছেন।ফোর্স সার্বক্ষনিক প্রস্তুত করা আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন,সদ্য যোগদান করেছি।কোন বালু ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেওয়া হবে না,অভিযান চলবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment