নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রক্টর মুশফিকু রহমানের পদত্যাগ ও ৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ৯ টায় একাডেমিক ভবনেতালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে আজ।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ মার্চ কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে কয়েকবার প্রক্টর মুশফিকুর রহমানের দেখা করতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের এড়িয়ে যান। সর্বশেষ মঙ্গলবার প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, মুশফিকুর রহমান প্রক্টর হওয়ার পর থেকেই সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তিনি সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলে বা তার মতের বাইরে গেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিকভাবে হয়রানি করেন। প্রায়ই কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না দেখিয়ে যখন-তখন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন এবং বহিষ্কার করেন।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদ খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে পূর্বের ২৫টি বিভাগের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে নতুন বিভাগ না খোলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ কয়েকজন শিক্ষককের বাকবিতন্ডা হয়। ওই ঘটনার জেরে সাত শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান ব্যক্তিগত কারনে গতকাল মঙ্গলবার তিনি নোবিপ্রবি উপাচার্য ও রেজিস্টার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি।