রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে কোমলমতি শিশুরা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে কোমলমতি শিশুরা

মোঃ আখতার রহমান, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় মেইন রাস্তা সংলগ্ন আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
এই বিদ্যালয়টি ব্যাস্ততম রাস্তার সাথে হওয়ায় সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুল ছুটির পর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝড়ে যেতে পারে কোন কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রাণ এমনটাই অভিযোগ করে বলেন বিদ্যালয়ের অভিবাবকরা ইতি পূর্বে জেরিন নামের এক শিশুর স্কুল ছুটির পর ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাতের হাড় ফেটে গিয়েছিল।
জানাযায় আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২২ সালে স্থাপিত হয়। । ১৩ জন শিক্ষক ও ৫৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটির পুর্বে আড়ানী রেলষ্টেশন হয়ে বাগাতিপাড়া নাটোর শহর মুখী এবং পশ্চিমে আড়ানী বাজার হয়ে পুঠিয়া রাজশাহী শহর। এই কারনে বর্তমানে রাস্তাটি চরম ব্যাস্ততম রাস্তায় পরিনত হয়েছে। এই বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটি বাগাতিপাড়া উপজেলা,লালপুর উপজেলা,বাঘা উপজেলা,চারঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচলের জন্য ব্যাবহার করে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য ভটভটি, ভ্যান,সাইকেল, অটোরিকসা, ট্রলি, মটরসাইকেল, ট্রাক ও অনান্য গাড়ী চলাচল করে । ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আড়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় এই বিদ্যালয়ের মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা করতে করতে মাঠ ছেড়ে রাস্তাায় চলে আসে। শিক্ষার্থীরা অল্প বয়সের হওয়ায় দুর্ঘটনার বিষয়টি বিবেচনা না করেই রাস্তার মধ্যে ছুটাছুটি করতে থাকে। তাই অসাবধানতা বশত যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী জানায়,বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর হলে আমরা নিরাপদে স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতে পারবো।অভিভাবকরা বলেন, ছেলে-মেয়েরা মেইন রোডে পাশে খোলা মাঠে খেলাধুলা করে, এখানে দুর্ঘটনার আশংকা থেকেই যায়। তাই সীমানা প্রাচীরটি স্থাপন করা খুবই দরকার। সে কারনে আমরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠিয়ে বেশ দুচিন্তায় থাকি।
প্রধান শিক্ষিকা নারগিস খাতুন বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকার ফলে সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুচিন্তায় থাকি। সব সময় সতর্ক থাকার পরেও যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অন্যান্য স্কুলে সরকারী ভাবে সিমানা প্রাচির বরাদ্দ দেওয়া হলেও এই বিদ্যালয়টি মেইন রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় পরও সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়নি। আরও জানান বিষয়টি সংচিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তিনি বলেন দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment