বাগেরহাটেএবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বাগেরহাটেএবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
এবছর বাগেরহাটে ব্যাপক হারে বোরো ধানের চাষ করেছে কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে ধানের গতিবিধি দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।বাগেরহাটের  চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড় বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বস্তিতে রয়েছেন কৃষকরা।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাছরুল মিল্লাত জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। সরকারের কৃষি বান্ধ¦ব নানা পদক্ষেপের কারণে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উত্তরোত্তর আমন ও বোরো আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৪১০ হেক্টর জমি এবং বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৮০ হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন। উপজেলায় ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৩০ জন মানুয়ের বিপরীতে খাদ্য চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার টন। আমন ও বোরো উৎপাদন মিলে খাদ্য চাহিদার তুলনায় খাদ্য ঘাটতি হতে পারে ১ হাজার টন। গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে উপজেলার ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫০ জনের বিপরীতে খাদ্য চাহিদা ছিল ৩১ হাজার ৮২৬ টন। ওই বছর আমন আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৫৪৬ হেক্টরে। চাল উৎপাদন হয়েছিল ১১ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। আর বোরো আবাদ ৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। চালের উৎপাদন ছিল ১৬ হাজার ৮৮৫ মেট্রিক টন। দু’টি আবাদে উৎপাদন হয়েছিল ২৮ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন চাল। খাদ্য চাহিদা ছিল ৩১ হাজার ৮২৬ টন। ওই বছর খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ২ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রোপা আমন চাষ হয়েছিল ৫ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে এবং বোরো আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে। ওই বছর খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৭৫ মেট্রিক টন। ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৪ জন জনসংখ্যার বিপরীতে খাদ্য চাহিদা ছিল ৩২ হাজার ৩৮ টন। খাদ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২৭৮ মেট্রিক টন।
রামপাল কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ, প্রশিক্ষণ, লিফলেট বিতরণ ও মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করে কৃষকদের ব্যাপক ভাবে সহায়তা প্রদান করায় রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এতে সার্বিকভাবে উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার গোবিন্দপুরের কৃষক হাওলাদার মারুফ হোসেন জানান, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলন পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment