মন্জুর আলী শাহ , দিনাজপুর প্রতিনিধি:
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমরা যে দেশ চেয়েছিলাম, সে দেশের কাছেও যেতে পারিনি। দেশে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে না পারলে জাতির সামনে একটা মারাত্বক দুর্যোগ নেমে আসবে। আর দেশে ভাল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে অন্যের চেয়ে বর্তমান সরকারেরই সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী দিনাজপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিক সাথে এক সংক্ষিপ্ত পেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী অগ্রাহ্য করা দেশকে অগ্রাহ্য করার শামিল। এ দেশ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান করতে পারেনি। শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিল প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কেউ কেউ বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন লন্ডন ষড়যন্ত্র। কিন্তু কোটা বিরোধী আন্দোলন লন্ডন বা সৌদী আরব কোন ষড়যন্ত্রই ছিল না, এটা ছাত্ররাই করেছে। তবে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সবার সমর্থন যোগাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায়নি, সংস্কার চেয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী কেন, সংসদেরও কোটা বাতিল করার ক্ষমতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রেসব্রিফিং-এ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতিকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের মাতা লতিফা বেগমকে দেখতে দিনাজপুরে আসেন। প্রেসব্রিফিং শেষে কাদের সিদ্দিকী দিনাজপুর শহরের ঘাষিপাড়াস্থ সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের ১০৩ বছর বয়সী মাতা লতিফা বেগমকে দেখতে যান।
সেখানে তিনি মাহবুবুর রহমানের মাতার সাথে কিছু সময় কাটান, তাঁর স্বাস্থ্যে খোঁজখবর নেন তাঁর দীর্ঘায়ূ কামনা করেন। এ সময় লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের ছোট বোন জিনাত আরা, ফাতেমা আক্তার ও মেহেদী বানুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে কাদের সিদ্দিকী ঢাকার উদ্দেশ্যে দিনাজপুর ত্যাগ করেন।