খুলনায় দুপুরেই নেমেছিল সন্ধ্যা

খুলনায় দুপুরেই নেমেছিল সন্ধ্যা

মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধিঃ-
 ভোর থেকেই খুলনার আকাশ স্বাভাবিক ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। আর ১১টা বাজতেই চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসে। অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছিল না দিন নাকি সন্ধ্যা। এর কিছুক্ষণ পরেই দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড়। ঝড়ো হাওয়া আর ব্জ্রপাতের আওয়াজে কান পাতা দায়।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালের কালবৈশাখীর আঘাতে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় গাছে উপড়ে গেছে বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হয়েছে।

আকাশে দিশাহীন কালো মেঘের ওড়াউড়ি। আলগা আলগা দখিনা বাতাস। কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই পুরো আকাশজুড়েই ঘন কালো মেঘের ছড়াছড়ি। মেঘ নিংড়ে কোথাও কোথাও ঝরছে অঝোর বৃষ্টি। ঝড়ো হাওয়া আর বজ্রমেঘের বিকট শব্দে বুকের ভিতর প্রকম্পন। ঘন কালো মেঘে দুপুরের আগেই নেমে আসে সন্ধ্যা।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেটের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ অথবা তার থেকেও বেশি বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, সাগরে সৃষ্ট বজ্রমেঘের ঘনঘটার কারণে ও লঘুচাপের প্রভাবে দ্রুত এ বৃষ্টি হচ্ছে।

হাফিজুর রহমান জানান, একই কারণে দেশের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভারিবর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে ভারিবর্ষণ (৪৪ থেকে ৮৮ মি. লি ) এবং অতি ভারিবর্ষণ (৮৯ মি. লি) হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment