মেহেদী হাসান,খুলনা প্রতিনিধিঃ–
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের (বুনারাবাদ) সাংকেমারী পার্শ্বেমারী নাইনখালী খালের ব্রিজে ফাটল দেখা দিয়েছে । কাজ সমাপ্তির এক বছর না পেরুতেই ব্রিজটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ব্রিজটির ফাটল দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের নির্মাণ কাজে ত্রুটির অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী এরইমধ্যে তাদের ফেসবুকে ওই ব্রিজের ফাটলের ছবি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করছেন।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচি ২০১৬-২০১৭ আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজটি তৈরি করতে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারুক এন্টারপ্রাইজ এটি নির্মাণ করেছে।
ব্রিজ সংলগ্ন বুনারাবাদ গ্রামের সুজয় রায় সুজিৎ বাংলানিউজকে বলেন, বুনারাবাদ গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ব্রিজ এটি। যার কাজ সমাপ্তির এক বছর না পেরুতেই ফাটল ধরছে। ব্রিজটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। সড়কের মধ্যে অবস্থিত ব্রিজটি বৃহত্তর সুকদাড়া বাজার থেকে কাটাবুনিয়ার খেওয়াঘাটে যাওয়ার একটা বড় মাধ্যম। প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের চলাচল এ সড়ক দিয়ে। সড়কটি দাকোপ থানার সঙ্গে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
তিনি জানান, ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় মাঝে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিক, ২টি প্রাইমারি স্কুল, সার্বজনীন মন্দির এবং এই প্রধান সড়ক পার হয়ে যেতে হয় বৃহত্তর সুকদাড়া বাজার ও গরিয়ারডাঙ্গা আদর্শ কলেজ, খলসীবুনিয়া জিপি হাই স্কুল, ইয়াসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুকদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
একই গ্রামের হিরামন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজের দুইপাশে ৪টি ও মাঝখানে ১টি ফাটল ধরেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে ব্রিজটি নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমি অফিসিয়ালভাবে জানি না। তবে ফেসবুকে দেখেছি।
খুলনা জেলা প্রশাসক আমিন-উল আহসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।