জলঢাকায় ব্রীজ নির্মান কাজের ধীরগতিতে জন দুর্ভোগ চরমে

মহিনুল ইসলাম সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী ॥

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারনে ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে নীলফামারীর জলঢাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ আউলিয়াখানা ব্রীজটির কাজ সম্পন্ন হয়নি বিগত ৩বছরেও। আর এ কারনে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার জনগনসহ জেলার দুই উপজেলা ডোমার,ডিমলা সহ দেবীগঞ্জ,পঞ্চগড়,ঠাকুরগাঁওগামী শত-শত যাত্রীবাহী
বাস,মালবাহী ট্রাক এবং পথচারীরা।জানা গেছে,গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় ৩
কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রীজটির নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পান মেসার্স শাহজাহান কনষ্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও
অদ্যাবধি সম্পন্ন হয়নি ব্রীজটির নির্মাণ কাজ। ডোমার,ডিমলা,দেবীগঞ্জ,ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড় থেকে রংপুর ও ঢাকা যাতায়াতের
একমাত্র এ রাস্তাটির উপর অস্থায়ী বেইলীব্রীজ নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।বেইলীব্রীজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার গাড়ী যাতায়াত করে আসছেএবং প্রতি বছর বর্ষার সময় এই বেইলীব্রীজটি ভেঙ্গে যায়। ফলে রাস্তাটি চলাচলের
অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই বিকল্প রাস্তা হিসেবে তিস্তা মেইন ক্যানেল হয়েউপজেলা পরিষদের সামন দিয়ে গাড়ীগুলো যাতায়াত করার কারনে জলঢাকা শহরেপ্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ব্রীজের ওপারে বসবাসরত পশ্চিম বালাগ্রাম
দোলঢিপি পাড়ার বিধূ চন্দ্র,ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম,আব্দুর রাজ্জাক ও তহিদুলইসলাম বলেন,কন্ট্রাকটার প্রতিবছর বর্ষার সময় কাজ শুরু করেন এবং খরার সময়কোন কাজ করেন না। হামার যাতায়াতের খুব সমস্যা হয়। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহরাব হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে লোকেশন খারাপ হওয়ার কারনে ব্রীজের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে তাই নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি বলে জানান, প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বেলাল হোসেন। জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন,সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
কথা বলেছি,অতিদ্রত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন তারা।নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছি, আশা করছি ৩০শে জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment