নদীভাঙনের হুমকিতে দু’শতাধিক পরিবার

মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরপাড়া ও মডেল চরপাড়া গ্রামের দু’শতাধিক পরিবার ঘোড়াউত্রা ও ফুলবাড়িয়া নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। নদীভাঙনের ৫ বছর আগে চরপাড়া গ্রামের উত্তর পাশে ফুলবাড়িয়া নদীর তীরে উচ্ছেদ হওয়া অর্ধশতাধিক জেলে পরিবার মডেল চরপাড়া নামে একটি গ্রাম গড়ে তোলে। এনজিও পপির সহায়তায় ২১ লাখ টাকা ও স্থানীয়রা ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করে গ্রামটি গড়ে তোলা হয়। বর্তমানে নতুন করে ফুলবাড়িয়া নদীভাঙনের ফলে মডেল চরপাড়ার অর্ধশতাধিক  পরিবার এখন হুমকির মুখে রয়েছে। মডেল চরপাড়া গ্রাম গড়ে ওঠার সময় নদীর তীর থেকে গ্রামটি প্রায় ৯০ ফুট দূরে ছিল।

ভাঙনের ফলে নদীটি গ্রামের মাত্র ১০ ফুট কাছে চলে এসেছে। এ গ্রামের জেলেরা চেষ্টা করেও ভাঙন রোধ করতে পারছে না। ভাঙন রোধে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বর্ষা আসার আগেই গ্রামটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। পুরাতন চরপাড়া গ্রামের দু’শতাধিক পরিবারের মধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মন্টু চন্দ্র দাস জানান, তিনি নিজেও ভাঙনের শিকার। ভাঙন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কোনো কাজে আসছে না। বর্তমানে চরপাড়া গ্রামের ২০টি পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।

এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজুয়ান আহাম্মেদ তৌফিক সরেজমিনে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সরকারিভাবে বিকল্প কোনো ব্যবস্থার উদ্যোগ না নিলে এ সকল পরিবারের ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী।

মিঠামইন উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুস সাহিদ ভূইয়া জানান, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে মিঠামইনে প্রায় ৪০টি গ্রাম নদীতে বিলীন হয়েছে। শত চেষ্টা করেও এ সকল ভিটেমাটিহারা মানুষের জন্য নতুন করে আবাসন তৈরি করা যায়নি। যে যেখানে সুবিধা পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিচ্ছে। বর্তমানে শান্তিপুর, ইসলামপুর বেড়িবাঁধ, চানপুর, চরপাড়া, রাজীপুর, মহিষার এলাকা নদীভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment