বাউফলের কারখানা লঞ্চ ঘাটে দীর্ঘ ৬মাস পর্যন্ত ভিড়ছেনা লঞ্চ

কামরুল হাসান,বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা:

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কারখানা লঞ্চ ঘাটে দীর্ঘ ৬মাস পর্যন্ত ভিড়ছেনা ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাটে লঞ্চ না ভেড়ায় চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারন যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ লঞ্চমালিক কর্তৃপক্ষের খাম খেয়ালিপনা এবং বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনেই এই ঘাটে ভিড়ছেনা ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ না ভেড়ার কারনে যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পল্টুনটি পড়ে রয়েছে অযতেœ অবহেলায়। পল্টুনে ওঠার সিড়ি ভেঙে যাওয়ায় মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পল্টুনটি। যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য সরকারি অর্থায়নে এই ঘাটে নির্মান করা হয়েছে একটি পাকা ভবন। পর্যাপ্ত যাত্রী, যাত্রীদের বিশ্রামাগার এবং পল্টুন থাকলেও এই ঘাটটিতে ভিড়ছেনা ঢাকাগামী কোনো দ্বিতল লঞ্চ। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নদীর নাব্যতা সংঙ্কটের অজুহাত দেখিয়ে কেবল খামখেয়ালী করেই এখানে ঘাট দেয় না ঢাকাগামী কোন লঞ্চ। সম্প্রতি নদীর নাব্যতা ফিরাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এই নদীতে ব্যাপক ড্রেজিং করে। নদী থেকে ড্রেজিং করে সেই বালু ফেলা হয়েছে কারখানা লঞ্চঘাট সংলগ্ন প্রায় ৫শ একর আবাদি জমিতে। লঞ্চ ভেড়ার আশায় স্থানীয়রা তাদের এই ক্ষতি মেনে নিলেও মিলছেনা সুফল। লঞ্চ না ভেড়ায় কাছিপাড়া কনকদিয়া ইউনিয়নের ছত্রকান্দা, কারখানা, দরিয়বাদ, মান্দারবন, পাকডাল, বীরপাশা, জয়ঘোড়া, সুরদী, বৌলতলী, ঝিলনা, অমরখালি গ্রামের প্রায় ১০হাজার মানুষকে পোহাতে চরম দূর্ভোগ। বর্তমানে এই এলাকার সাধারন যাত্রীদেরকে ঢাকা যেতে ব্যবহার করতে হচ্ছে পাশ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠি লঞ্চঘাট। গভীর রাতে ওই ঘাটে লঞ্চ নোঙর করায় যাত্রীদেরকে কারখানা নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। সব থেকে বেশি বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। এ বিষয়ে কারখানা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই লঞ্চ ঘাটটি দিয়ে সাধারন মানুষ ঢাকা, বরিশাল ভোলার সাথে যাতায়েত করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ঘাটে লঞ্চ ঘাট না দেয়ায় চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছি আমরা। সাধারন মানুষকে বাধ্য হয়ে ট্রলার যোগে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার আফালকাঠি লঞ্চঘাটে গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। নারী ও শিশুদের জন্য এ দূর্ভোগ একেবারেই অবর্ননীয়। এ বিষয়ে কারখানা গ্রামের অপর বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার বলেন, কারখানা লঞ্চঘাটটিতে লঞ্চ ঘাট দেয়ার জন্য স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বি আইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর একটি ডিও লেটার পাঠালেও অজ্ঞাত কারনে তা কার্যকরা হচ্ছে না। পটুয়াখালী জেলা অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহনের সহকারি পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি শীঘ্রই সরেজমিনে ঘাটটি পরিদর্শন করব। এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment