ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নিচ্ছে সরকার | দৈনিক আগামীর সময়

ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কিনে নিচ্ছে সরকার | দৈনিক আগামীর সময়

রাজধানির টিকাটুলির ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

ব্যক্তি মালিকাধীন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত ওই বাড়ি কিনতে সরকারের ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই বাড়িটি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে বলে সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুসারে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাড়িটি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

১৯৩১ সালে ঋষিকেশ দাস নামে এক ব্যবসায়ী পুরান ঢাকার ঋষিকেশ রোডে প্রায় ২২ বিঘা জমির উপর এই বাগানবাড়ি তৈরি করেন। কথিত আছে, ঋষিকেশ দাস তার বাগানবাড়িতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দুর্লভ গোলাপ গাছ এনে রোপণ করেন। সেই থেকে এর নাম হয় ‘রোজ গার্ডেন’। নির্মাণশৈলীর অভিনবত্বে এই ভবনটি অনন্য।

১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) গঠনের প্রাথমিক আলোচনা সভা এই রোজ গার্ডেনে হয়েছিল। নতুন দল গঠনে ওই বছরের ২৩ ও ২৪ জুন ওই বাড়িতে সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এই বাড়িটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

বাংলাপিডিয়ার তথ্য মতে, ১৯৩৬ সালে হৃষিকেশ দাসের কাছ থেকে বিত্তশালী ব্যবসায়ী খান বাহাদুর কাজী আবদুর রশীদ ক্রয়সূত্রে এই সম্পত্তির অধিকারী হন। ১৯৩৭ সালে তিনি সপরিবারে সেখানে বসবাস শুরু করেন এবং রোজ গার্ডেনের নতুন নাম করেন ‘রশীদ মঞ্জিল’। কিন্তু নতুন নামে বাড়িটির পরিচিতি বিশেষ বাড়েনি।

ভারত ভাগের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয় এই রোজ গার্ডেনে। এই ভবনে আতিথ্য গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিখ্যাত অনেক জননেতা। বিখ্যাত ব্যক্তিদের উজ্জ্বল উপস্থিতি এবং বহু গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল এ রোজ গার্ডেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment