নওগাঁয় জাতীয়করণ হল ৬টি কলেজ

 স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ ঃ

২৭১টি বেসরকারি কলেজের জাতীয়করণ করেছে সরকার। এ নিয়ে দেশে সরকারি কলেজ ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯৮টি। এর মধ্যে নওগাঁর রয়েছে ৬টি কলেজ। কলেজগুলো হলো, ধামুইরহাট এম এম ডিগ্রি কলেজ, পোরশা ডিগ্রি কলেজ, মান্দা মমিন শাহানাডিগ্রি কলেজ, নিয়ামতপুর কলেজ, আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল কলেজ এবং রাণীনগর শেরÑএÑ বাংলা মহাবিদ্যালয়। এরআগে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ এবং সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মিলিয়ে এতদিন দেশে ৩২৭টি সরকারি কলেজ ছিল। যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই, সেখানে একটি করে কলেজকে জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে সরকারের। এর অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণের জন্য তালিকাভুক্তির কাজ শুরু হয়। তার মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ২৭১টি কলেজ সরকারি হল। এসব কলেজে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষকদের মর্যাদা কি হবে তা নিয়ে গত ৩১ জুলাই একটি বিধিমালাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব কলেজ সরকারিকরণ করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কলেজগুলোর শিক্ষর্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ এলাকাবাসী। নওগাঁয় ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ ঃ নওগাঁয় ভূল চিকিৎসায় বাবলা কান্তু (৬০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরের বেসরকারি ক্লিনিক ‘পঞ্চভাই ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম’ এ শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে তার মৃত্যু হয়। বাবলা কান্তু নওগাঁ শহরের হাট-নওগাঁ মহল্লার মৃত করুনা কান্তর ছেলে। ক্লিনিক ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে বাবলা কান্তর হাত ভেঙে যায়। চিকিৎসা করানোর পরও সুস্থ হয়নি। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ‘পঞ্চভাই ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম’ ভর্তি করানো হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. মো: আবু হেনা সেলিমের তত্বাবধানে রোগীর হাত অপারেশনের জন্য থিয়েটারে নেওয়া হয়। এসময় এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. ইসকেন্দার হোসেন রোগীকে চেতনা নাশক ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর থেকেই রোগীর আর কোন জ্ঞান ফেরেনি। প্রায় ২ ঘণ্টা পর রোগীর অভিভাবকদের জানানো হয় রোগী মারা গেছে। ঘটনার পর নিহতের পরিবারের সদস্যরা ক্লিনিক ঘেরাও করলে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। নিহতের ছেলে অশোক কুমার বলেন, হাত ভাঙ্গার চিকিৎসার জন্য বাবাকে ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়েছিল। অপারেশনের জন্য থিয়েটারে নেয়া হলে চেনতানাশক ইনজেকশন দেয়া হয়। এরপর জ্ঞান ফিরেনি। ডাক্তারদের অবহেলা এবং ভূলের কারণে বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে ডা. ইসকেন্দার হোসেন এবং ডা. মো: আবু হেনা সেলিমের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ক্লিনিক পরিচালনাকারী এক সদস্য আব্দুল জলিল মুন্সি বলেন, এটি একটি নিছক দূর্ঘটনা। অপারেশন টেবিলে রোগী হৃদ যন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ (হার্ড স্ট্রোক) হয়ে মারা গেছে। নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. মুমিনুল হক ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যপারে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর নিয়মিত ক্লিনিক মনিটরিং এবং ক্লিনিকের পরিবেশের অবস্থা খারাপ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু রোগীর পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment