মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:
দোহার উপজেলার ঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইয়াসমিনের(১৩) বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন ইউএনও আফরোজা আকতার রিবা।শিক্ষার্থী ইয়াসমিন উপজেলার দক্ষিন জয়পাড়া গ্রামের হাসানের মেয়ে। জানা যায়,গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিন জয়পাড়া এলাকায় ঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ইয়াসমিনের(১৩) বিবাহের কথা চলছিলো।সংবাদ পেয়ে দোহারের ইউএনও আফরোজা আক্তার রিবা বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা খাতুনকে। ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা খাতুন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হলে ইয়াসমিনের মা- বাবা বিবাহের কথা স্বীকার করেন।এ সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা খাতুন বলেন,বাল্যবিবাহ দেওয়া একটি অপরাধ এবং বাল্যবিবাহের কারনে ক্ষতির প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন।এরপর ইয়াসমিনের বাবা হাসান মিয়া ও দাদা আরশেদ মিয়া তাদের ভুলটা বুঝতে পেরে বিবাহের আয়োজন নাচক করে দেন বর পক্ষকে।এ সময়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়াতে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা খাতুন ও সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে দোহারের ইউএনও আয়রোজা আক্তার রিবা বলেন,বালিকা ইয়াসমিনের পরিবারকে বাল্যবিবাহ সন্মন্ধে বুঝাতে পেরেছি।তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং মেয়ের বিবাহ তারা নিজেরাই নাচক করে দেওয়ায় আর কোন আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়নি। দোহার,ঢাকা।