সাপাহারে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই ক্লিনিকের জরিমানা চুক্তির টাকা ফেরত দিল কথিত সাংবাদিক

ফারমান আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁর সাপাহারে বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের শাওন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক ও জনসেবা ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী। এসময় অসাস্থ্যকর পরিবেশ ও ডাক্তার-নার্স হিসেবে বৈধ কাগজ পত্র না থাকার অপরাধে শাওন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের ৭০ হাজার ও জনসেবা ক্লিনিকের ২০ হাজার টাকা সহ মোট ৯০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সাংবাদিকের ধান্দাবাজির ১৪ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। জানাগেছে, ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অন্যান্য ক্লিনিকের মালিকগণ বিষয়টি টের পেয়ে ক্লিনিক বন্ধ করে পালিয়ে যান। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পরিবেশ ঠান্ডা করার জন্য দি পপুলার ক্লিনিকের মালিক তার তার স্টাফ ওহেদ এর মাধ্যমে “দৈনিক ভোরের পাতা”র সাংবাদিক নয়ন বাবুকে ম্যানেজ করে ১০হাজার টাকা দেন। অপরদিকে শাওন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানার টাকা কমানো ও সংবাদটি বন্ধ করার জন্য নয়ন বাবুকে ৪হাজার টাকা দেন। কিন্তু অন্যান্য সাংবাদিকরা নিউজটি প্রকাশ করে ফেইসবুকে শেয়ার করলে, নিউজটি শাওন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ম্যানেজার জহুরুল ইসলামের দৃষ্টি গোচর হয়। এবং টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সাংবাদিক নয়ন বাবুকে চাপ সৃষ্টি করে। পরক্ষনে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষনিক বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে তথ্য প্রমান সাপেক্ষে ধান্দাবাজির ১৪ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করে ঐ ধান্দাবাজ সাংবাদিককে। এবং পরর্তিতে এরুপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য শতর্ক করে দেন। পপুলার ক্লিনিকের মালিক সাইদুর রহমান জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পরিবেশ ঠান্ডা করার জন্য আমি আমার স্টাফ ওহেদ এর মাধ্যমে সাংবাদিক নয়ন বাবুকে চা- মিষ্টি খাওয়া বাবদ ১০হাজার টাকা দেই। কিন্তু সন্ধ্যায় ইউএনও স্যার তার রুমে ডেকে নিয়ে সাংবাদিককে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আমি টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করি। তখন ইউএনও স্যার নয়ন বাবুকে আমার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শাওন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ম্যানেজার জহুরুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমান পরিচালনার সময় সাংবাদিক নয়ন আমাকে বলেন, আপনার এখানে সব ভুয়া। আপনার অনেক জরিমানা হবে, আপনি যদি আমাকে ৫হাজার টাকাদেন তাহলে আপনার জরিমানা কম করা হবে এবং আমরা কোন লেখালেখিও করবনা। তখন আমি তাকে ৪হাজার টাকা দেই। কিন্তু সে আমার কোন জরিমানা কম করাতে পারিনি এবং এব্যাপারে নিউজ হলে আমি তার কাছে টাকা ফেরত চাই। সাংবাদিক নয়ন বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করে মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী বলেন, সাপাহারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। সাংবাদিকের টাকা নেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি বিষটি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক নয়ন বাবু এবং অন্যান্য সাংবাদিককে ডেকে নয়ন যাদের কাছে টাকা নিয়েছে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এবং পরবর্তিতে যাতে এমন না হয় সে জন্য তাকে শতর্ক করে দিয়েছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment