https://www.youtube.com/watch?v=cYZGmEYt1uk
বি চৌধুরী চক্ষুলজ্জা রেখে আওয়ামী লীগের সাথে দর কষাকষি করলেও নাজমুল হুদা এতকিছুর ধার ধারেননি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নির্লজ্জের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন।
সোমবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রভাষ আমিনের ভাষায়, মুদ্রার অপর পিঠে সাবেক বিএনপি নেতারা এখন আওয়ামী লীগের পাশে। সরকার বিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রাথমিক উদ্যোগ ছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরীর। শেষ মুহূর্তে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ছিটকে পড়া বি চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ২০ দল থেকে দল ভাগিয়ে তিনি নিজের দল ভারী করছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বি চৌধুরী এখন আওয়ামী লীগের বন্ধু। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির কনিষ্ঠতম সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা অবশ্য বি চৌধুরীর মত অত কৌশলী নন।
বি চৌধুরী তবু চক্ষুলজ্জা রেখে আওয়ামী লীগের সাথে দর কষাকষি করছেন। কিন্তু নাজমুল হুদা এতকিছুর ধার ধারেননি। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও নির্লজ্জের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। অথচ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নিজে একটি দল করেছেন; বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্স-বিএনএ নামে জোট করেছেন। এই দল আর জোট নিয়ে ১৪ দলে বিলীন হওয়ার অনেক চেষ্টা করেছেন। ব্যর্থ হয়ে সরাসরি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবার এত মরিয়া, কারণ তার গতবারের অভিজ্ঞতা ভালো না।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে প্রথমে তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ গঠন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আবুল কালাম আজাদ নামে এক উটকো লোক ব্যারিস্টার হুদাকে বহিষ্কার করে নিজেই বিএনএফ নেতা বনে যান এবং বাগিয়ে নেন গুলশানের আসন। বিএনএফ-এর আবুল কালাম আজাদ ৫ বছর ধরে দেশের সবচেয়ে অভিজাত এলাকার এমপি আর বিএনএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার হুদা ফ্যা ফ্যা করে ঘুরছেন; এটাই ব্যারিস্টার হুদাকে বেপরোয়া করে তুলেছে হয়তো। আসন সমঝোতায় বি চৌধুরী অন্তত ৫টি পেতে আশা করবেন, আমার ধারণা ৩টির বেশি পাবেন না।
তবে নাজমুল হুদাকে সামাল দিতে একটা আসনই যথেষ্ট। তবে সেটা দোহার না গুলশান- এই নিয়ে বেচারা বড্ড পেরেশানিতে আছেন। দোহারে তার চাচা সালমান এফ রহমান আগে থেকেই লাইনে আছেন। আবার গুলশানের দিকেও অনেকের নজর। তাই ২০১৪ সালের মত এবারও প্রতারিত হবার ভয়ে অস্থির ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
আচ্ছা আপনাদের কারো কি বিএনপির ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৫ সময়কার কথা মনে আছে। এই ১০ বছরে ব্যারিস্টার হুদা প্রায় প্রতিদিন আওয়ামী লীগ ও এর নেতা-নেত্রীদের গালাগাল করতেন, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতেন। বেশ কিছুদিন তথ্যমন্ত্রী ছিলেন বলে মিডিয়া তার ফুটপাতের তাবিজ বিক্রেতা স্টাইলের সেই ট্র্যাশ প্রচারও করতো। অবশ্য মানুষ তার ভাড়ামোতে দারুণ বিনোদন পেতো। এখন তিনি প্রায়শ্চিত্ত করতে চান। সারাক্ষণ খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের নিন্দা-মন্দ করেন। কিন্তু এখন আর এসব কথা বলার জন্য মিডিয়া পান না।
https://www.youtube.com/watch?v=FAJ-T1LdmDQ