কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারনে পিইসি পরীক্ষা দিতে পারলনা ৩ শিক্ষার্থী

মমিনুল ইসলাম বাবু  (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ১৮.১১.১৮
এবারের চলতি পি এস সি’তে ছয়টি কেন্দ্রে ৩,৫৮৯ জন ও  এবতেদায়ীতে ৪৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা থাকলে অনুপুস্থিত পি এস সি’তে ২০৪ ও এবতেদায়ীতে ৮২ জন। অপরদিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম প্রিয়ার গাফিলতির কারনে প্রবেশ পত্র না আসায় চলতি পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেননি ৩ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উপজেলার চন্দ্রখানা সরকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর নিয়মিত শিক্ষার্থী। গতকাল রবিবার ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (পাইলট) কেন্দ্রে মোট ৩০ জন ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার কথা থাকলেও সেখানে পরিক্ষার্থী ছিলেন ২৭ জন। কিন্তু গত শনিবার ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানতে পারেন তাদের সন্তানদের প্রবেশ পত্র আসেনি। সারা বছর পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহুর্তে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা হল উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম পলাশ ক্লাস রোল-২৩, একই গ্রামের গনেশ চন্দ্রের মেয়ে শিমু ক্লাস রোল-১২ এবং রতন চন্দ্রের মেয়ে পল্লবী ক্লাস রোল-২৭।
পরীক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম পলাশের মা পলি বেগম বলেন, পিইসি পরীক্ষা দেয়ার জন্য আমার আমার ছেলে ফরম পুরণ করেছে, পরীক্ষার জন্য স্কুল থেকে তাকে একটি হার্ডবোর্ডও দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন জানতে পারলাম তার প্রবেশ পত্র আসেনি। এটা প্রধান শিক্ষকের অবহেলার কারনে হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। চন্দ্রখানা সরকার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম প্রিয়া জানান, ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের নাম পাঠাতে নিষেধ করায় তাদের নাম পাঠানো হয়নি, তাই প্রবেশ পত্র আসেনি।উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার অধিকারী জানান, আমি সব শিক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র দিয়েছি কোন পরিক্ষার্থী যদি প্রবেশ পত্র না পায় তার দায় দায়িত্ব প্রধান শিক্ষককে নিতে হবে। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: মাছুমা আরেফিন জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment