একসময় শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে মানুষ অনেকরকম ভিটামিন খেত। তবে সেগুলোর উৎস ছিল বিভিন্ন ফল। শীতকালে ফলের পরিমান কম থাকায় শুকনো ফলই সেই চাহিদা পূরণ করতো। অনেকে এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় ফল শুকিয়ে সংরক্ষন করে রাখতেন।
যে কোন ফল স্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য আদর্শ। আর তা যদি হয় শুকনো ফল তাহলে তো কথাই নেই। শীতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা বজায় রাখতে খেতে পারেন কিছু শুকনো ফল। যেমন-
শুকনো খেজুর : শুকনো ফল বলতেই যে ফলটির কথা প্রথম মনে হয় তা হলো খেজুর। এতে পুষ্টি গুণ এত বেশি যে এটা সারা বছরই খাওয়া যায়। শীতের সময় ঠান্ডাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে খেজুর। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শুকনো কিশমিশ : হতাশা দূরে রাখে কিশমিশ। এছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থাকলে সারা বছর রোজই কিশিমিশ খেতে পারেন।
চেরী : ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে শুকনো চেরী। ত্বকের মরা কোষ দূর করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে এটি।
শুকনো ডুমুর : থাইরয়েডের সমস্যা থেকে দূরে রাখে ডুমুর। এছাড়া শরীরকে পরজীবী আক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে এই ফল। ক্যান্সার কোষ তৈরী বন্ধ করে ডুমুর। ডুমুরের অতিরিক্ত ভিটামিন ত্বককে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
বাদাম : শীতে বিভিন্ন ধরনের বাদাম সংরক্ষন করতে পারেন। আখরোট, কাজু, পেস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম জাতীয় খাবার ঘরে রাখাতে পারেন। যে কোন ধরনের বাদাম ত্বকের জন্য ভালো। এছাড়া শীতে শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে এটি।