শহীদ আসাদের ৫০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী মোহাম্মদপুর আসাদগেটে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল

শহীদ আসাদের ৫০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী মোহাম্মদপুর আসাদগেটে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

আসাদের চেতনা চির বহমান রক্ত থেকে রক্তে এ স্লোগান বক্ষে ধারণ করে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানী স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১-দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। দিবসটি উপলক্ষে ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ রোজ রবিবার বাদআসর শহীদ আসাদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শহীদ আসাদের ৫০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী মোহাম্মদপুর আসাদগেটে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব তোফায়েল আহমেদ, এমপি, উপদেষ্টা মন্ডলীর, সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্প মন্ত্রী জনাব নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এম,পি, জনাব আলহাজ্ব সাদেক খান, এমপি, ঢাকা-১৩ আসন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর-উত্তর, আওয়ামী লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, জনাব ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনাব শেখ বজলুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা-মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগ, প্রকৌশলী এফ এম রশীদুজ্জামান, শহীদ আসাদের বড় ভাই এবং সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ঢাকা মহানগর-উত্তর, আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন, ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম আনিসুর রহমান (কাবুল), সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম (রাষ্টন),৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রবিউল আলম, ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধাণ সম্পাদক মোঃ ওয়ালিউল্লাহ মাষ্টার এবং বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে আগত আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানার জনপ্রিয় অফিসার ইনচার্জ গনেশ গোপাল বিশ্বাস পিপিএম-সেবা, মোহাম্মদপুর থানার জনগণের বন্ধু ও ডিএমপি থেকে ভালো কাজের পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ’সহ প্রমুখ। উল্লেখ্য ‘১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ১৯৬০ সালে শিবপুর হাই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন সম্পন্ন করার পর সিলেট কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৬ সালে ইতিহাসে অনাস নিয়ে বিএ এবং ১৯৬৭ সালে একই বিভাগ থেকে এম.এ ডিগ্রী লাভ বরেন। সে বছর সিটি ল’ কলেজে এল.এল.বি ক্লাসে ভর্তি হন এবং ল’ এর ছাত্রাবস্থায় তিনি শহীদ হন। আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিনদিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয়-দফা ও ছাত্রদের ১১-দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সত্তর সালের সেই অভূতপূর্ব নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ইয়াহিয়া ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নানা টালবাহানা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তর সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মাত্র নয় মাস যুদ্ধের পর একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাঙ্গালি। বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশের।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment