কলা সবচেয়ে সহজলভ্য ফল, যা সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় ১০৭টি দেশে মেলে স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই ফলটি। কাঁচা কলা রান্না করে বা ভেজেও খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, কলায় রয়েছে- প্রায় ৯০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২১০ ক্যালোরি, ৫৪ গ্রাম শর্করা, ২ গ্রাম ফাইবার, ২৮ গ্রাম সুগার ও ৬ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া কলায় ২ শতাংশ ভিটামিন এ, ৩৪ শতাংশ ভিটামিন সি, ২ শতাংশ আয়রন, ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-৬, ১৬ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। আসুন জেনে নিই কলার বিভিন্ন উপকারী গুণের বিষয়ে-
১. কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নামের এক রকম অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই উপাদান আমাদের স্নায়ুকে শিথিল করে। এর ফলে ঘুম ভালো হয়।
২. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কলা দারুণ উপকারী। কলায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী।
৩. পাকা কলায় থাকে TNF-A নামের এক ধরণের যৌগ, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
৪. কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম জমতে দেয় না। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৫. কলায় প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক শর্করা এবং সল্যুবল ফাইবার রয়েছে, যা শরীরে শক্তি যোগায়।
৬. প্রতিদিন একটি বা দু’টি পাকা কলা খেলে হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ ও সচল থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
৭. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। কলায় থাকা বিটামিন বি-৬ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. কলায় থাকা ফাইবার ও প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড হজমে খুবই সহায়ক। এর ফলে খাদ্য থেকে শরীর আরও বেশি পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।
৯. কলার খোসা থাকা সামান্য পরিমাণ ফ্যাটি উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী। কলার খোসা ত্বকে ঘষলে ত্বকের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্রণ নিয়ন্ত্রণে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।