কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে তিনি সেখানে যেতে রাজি নন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উনি ‘না’ করে দিয়েছেন, উনি যাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়। আমাদেরও প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু তাকে জানানোর পর তিনি হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।’
এর আগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, বিএনপি প্রধানকে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাকে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে রাখা হতে পারে।’
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে রাখার জন্য হাসপাতালের ২১ ও ২২ নম্বর কেবিন ঠিক করা হয়েছে। তবে রাখা হতে পারে ২১ নম্বর কেবিনে।
কারাবন্দী হওয়ার পর শুরু থেকেই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি করে আসছে বিএনপি। তবে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে ফের তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তখন বিএনপি অভিযোগ করেছিল, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়েই হাসপাতালে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এ কারণে বহুদিন ধরে দলটি তার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি নিয়ে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া।