মহাসড়ক যেন দোতলা আর ফুটপাত ভূমি IIরিক্সাচালকদের ভোগান্তি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা

 আবু বকর সিদ্দিক, শেরপুর(বগুড়া)থেকে-

শুধু বগুড়া বা শেরপুরেই নয় দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে তিন চাকার রিক্সা, ভ্যান, বাই সাইকেল, সিএনজি সহ ছোট, বড়, মাঝারি সবধরনের যানবাহনই ব্যস্ত মহাসড়কে চলাচল করার সময় মহাসড়কের পাশর্^ রাস্তা বা ফুটপাতে আবার ফুটপাত থেকে মহাসড়কে উঠানামা করতে থাকে। আর এই উঠানামার জায়গাগুলোতে ব্যবহৃত বীট বা রোড ডিভাইডার বিপদজনক অসমতলতা ও ফুটপাত থেকে মহাসড়কের চিহ্নিত উচ্চতা মারাক্তক ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় ভারী যানবাহন উল্টে প্রায়ই মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটে প্রান হরাচ্ছে অগনিত মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে রিক্সা চালকরা। বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বর্তমানে মহাসড়কের রিপিয়ারিং কাজ চলছে। সেখানে ফুটপাতের চেয়ে মহাসড়কটি অনেকখানি উচু এবং খাড়া। রিক্সা সিএনজি সহ ছোট বড় সব ধরনের যানবহন নিচে থেকে উপড়ে উঠতেই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে কখনো কখনো। বিশেষ করে মটরসাইকেলের জন্য কুচিপাথর, মহাসড়ক ও ফুটপাতের মধ্যে এই চিহ্নিত বীট বা রোড ডিভাইডার যেন মরনফাঁদ পেতে বসে আছে। মটর সাইকেলগুলো ব্যস্ত মহাসড়কে চলাচল করার সময় সামনে বড় গাড়ি আথবা দ্রুত গতির গাড়ি দেখলে খুব সহজেই পাশর্^ রাস্তা ফুটপাতে নামিয়ে দেয়। কিন্তু ফুটপাত থেকে মহাসড়কে উঠার সময় ব্যবহিত রোড ডিভাইডারের অস্বাভাবিক উচ্চতার কারনে সবধরনের ভারী যানবাহনের জন্য দুর্ঘটনার মুখোমুখি আরোহীরা। কারন চলতি অবস্থায় থাকা মোটরসাইকেল ফুটপাত থেকে মহাসড়কে উঠতে ব্যবহিত বীটের অস্বাভাবিক উচ্চতা ও কুচিপাথর অতিক্রম করতে স্লিপ করে ব্যস্ত মহাসড়কে পড়ে যাচ্ছে বহু মানুষ। শেরপুর উপজেলার অধীনে শেরুয়া বটতলা থেকে ছোনকা বাজার ও ঘোগা বটতলা মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বেশ কিছু রিক্স, মোটর সাইকেল ও ট্রাক চালকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শেরুয়া বটতলা থেকে ঘোগা বটতলা যাওয়ার পথে ঐদিকে ঘোগা বটতলা সহ কৃষ্টপুর গ্রামের পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন মহাসড়ক, মির্জাপুর থেকে শেরুয়া বটতলা আসার পথে হাওয়াখানা তৌহিদ ফিলিং স্টেশন থেকে শেরুয়া বাজারের আগ পর্যন্ত সরকারি মৎস প্রশিক্ষন ও সম্প্রসারন কেন্দ্র সংলগ্ন মহাসড়ক ও পাশর্^ রাস্তার অসমতলতা যেন ভয়ঙ্কর বিপদজনক পরিস্থিতে আছে। এবং এই রাস্তাটিতে মাঝে মাঝেই মোটর সনাইকেল ও ভারি যানবাহনগুলোর চাকা বাস্ট হয়ে বা ফেঁটে উল্টেগিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে যানবাহন যাত্রি ও পথচারীরা। এদিকে শেরপুর ব্যাসস্টান্ড ব্রাক ব্যাংক থেকে কলেজরোডের শেরউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের্^ নিচু ও মহাসড়কের উচ্চতার সাথে পাশর্^ রাস্তার বীটের অসমতল প্রায় ৬ টি স্থান অধিক ঝুকিপূর্ন স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী কর্মকর্তা মো: সিদ্দিক হোসেন বলেন, শেরপুর অডোটরিয়াম রোড থেকে শুরু করে মহিপুর এলাকা ব্যাপক দুর্ঘটনা প্রবন এলাকা বলে আমরা মনে করি তাই বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ডও দেওয়া আছে। তিনি বলেন, রাস্তাটি দুই দিকেই অধিক ঢালু ও মহাসড়কের সাথে পাশর্^ রাস্তার সমতলতা না থাকায় ভারী যানবাহন, বাস, সিএনজি, মোটর সাইকেল সহ সব ধরনের যান চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুবই বিপদজনক। এ বিষয়ে বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আশরাফুজ্জামান বলেন, আগামী ৪/৫ মাসের মধ্যে ফোরলেনের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। এবং আমরা মহাসড়ক ও পাশর্^ রাস্তা বা ফুটপাতের চিহ্নিত ডিভাইডার স্থানগুলো সব জায়গাতেই সমান করে দিয়ে থাকি। তবে বিপদজনক অসমতল জায়গাগুলো পরিদর্শন করে খুব তারাতারি ব্যবস্থা গ্রহন করব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment