পুলিশের একমাত্র টার্গেটই যেন মোটরসাইকেল। চেকপোস্টগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে থামিয়ে রাখা হচ্ছে দুই চাকার এই গাড়িটি। অথচ এর পাশ দিয়ে পুলিশের চোখের সামনে ট্রাফিক আইন অমান্য করে শাঁই শাঁই করে চলে যাচ্ছে বড় গাড়িগুলো। রাজধানীতে দিনের বেলায় ঢোকার অনুমতি নেই, এমন গাড়িও দিনের বেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজসড়ক। লক্কড়ঝক্কড় রঙচটা গাড়িগুলো ঠিকই রাজধানীতে চলছে। এখানে সেখানে পার্কিং করা হচ্ছে দামি গাড়িগুলো। এসবের দিকে নজর নেই ট্রাফিক পুলিশের।
ট্রাফিক সপ্তাহে রাজধানীর সড়কে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানামা চলছে। সেদিকে নজর নেই ট্রাফিক কর্মকর্তাদের। সড়কে পুলিশের চোখে পড়ে শুধু মোটরসাইকেল। অথচ পাশ দিয়ে ট্রাফিক আইন ভেঙ্গে চলাচল করা বাসগুলোকে দেখছেন না তারা।
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
সড়কে স্বেচ্ছাসেবক আর ট্রাফিক পুলিশের কর্মব্যস্ততার সাথে চলছে মাইকিং। শহরের ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে তা নগরবাসীও টের পাচ্ছে। দুদিন বাদে ২৩ই মার্চ শেষ হবে এই শৃঙ্খলা সপ্তাহ। বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে শাহবাগমুখী পথে কাওরানবাজার পার হয়ে আসা বাসগুলো রাস্তার উপরেই যাত্রী উঠানামা করছে। এই দৃশ্য নিত্যদিনের পরিচিত। একটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে আর একটি আসছে। সেগুলোও রাখা হচ্ছে এলোপাথাড়ি করে। যাত্রী ওঠানামার কারণে এবং বাস এলোপাথাড়ি রাখার কারণে পেছনে পুরো রাস্তা আটকে যাচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়েই দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ কিন্তু সেদিকে নজর নেই।
এদিকে একটি মোটরসাইকেল দেখলেই চেকপোষ্টে দায়িত্বরত প্রায় সব সদস্যই যেন একযোগে সেটি থামানোর চেষ্টা করেন। একই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর মগবাজার, শান্তিনগর, কাকরাইল এলাকায়। ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম তিন দিনেই ৪৭১৯টি বাস বা মিনিমাসের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৯৩৩৩।
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
গত ৩১ শে জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহেও সেই একই রকম তথ্য। পরিসংখ্যান বলছে, মোটরসাইকেল-এর বিরুদ্ধে করা মামলার সংখ্যা বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রায় দ্বিগুণ। আর গত বছরের ১৪ই আগস্ট ট্রাফিক সপ্তাহে মোটরসাইকেল এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬৩টি। যা বাস বা মিনিবাসের বিরুদ্ধে করা মামলার তিনগুণেরও বেশি। বাস ছেড়ে মোটরসাইকেল এর দিকে এত বেশি মনোযোগী কেন প্রশ্ন ছিল ডিএমপি কমিশনার এর কাছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘গণ পরিবহনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ করে যারা পাল্লা দিয়ে বাস ড্রাইভিং করে আড়াআড়ি করে রাস্তায় বাঁধার সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
পুলিশের সড়ক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালনকালেই সুপ্রভাত বাস কেড়ে নিয়েছে শিক্ষার্থী আবরারের জীবন। এ ছাড়াও পুলিশের এই কর্মসূচির মধ্যেও প্রতিদিন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছে অনেক মানুষ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পুলিশের এই কর্মসূচি কেবল আইওয়াশ। এতে সড়কে কোন শৃঙ্খলা ফেরে না। বরং কিছু অসৎ পুলিশ সদস্যের বাড়তি উপার্জনের ব্যবস্থা হয় এই কর্মসূচিতে।
গত ১৭ মার্চ রাজধানীতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ শুরু হয়। ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। ১৭ মার্চ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো: আছাদুজ্জামান মিয়া। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহানগরীর জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা উন্নতিকল্পে এই কর্মসূচি নেয়া হয়। কর্মসূচি উদ্বোধনের পর পুলিশ কমিশনার নিজেই কয়েকটি গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করেন।