স্বপ্রণোদিত হয়েই পাতানো খেলার তদন্তে বাফুফে

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি সন্দেহজনক ম্যাচ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের চট্টগ্রাম আবাহনী-সাইফ স্পোর্টিং গোলশূন্য ম্যাচটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও হইচই হয়নি। একটি বেসরকারি টিভি বলেছিল, দু’দলের কারও মধ্যেই জেতার আগ্রহ দেখা যায়নি। খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল গা-ছাড়া ভাব। মনে হলো, সমঝোতার ম্যাচই খেলেছে দুদল।

গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রথম সভায় বসে সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদের নেতৃত্বে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি। কমিটি দুই দলের তিনজন করে ফুটবলারকে ২৪ মার্চ রোবার বাফুফে ভবনে তলব করেছে। সাইফের ইয়াসিন আরাফাত, জামাল ভূঁইয়া ও জাফর ইকবাল এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর মোনায়েম খান রাজু, আবদুল মালেক ও মাগালান।

ছয় ফুটবলারের মধ্যে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে বাহরাইনে আছেন ইয়াসিন ও জাফর ইকবাল। তারা দেশে ফিরলে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হবেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া তাকে তলব করা প্রসঙ্গে গতকাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম আবাহনী পয়েন্ট তালিকার আটে। আমরা চারে। ওদের সঙ্গে পাতানো খেলা খেলতে যাব কেন আমরা? আমাদের কী লাভ? আমি দুঃখিত, ব্যথিত এই অভিযোগ ওঠায়। এটা আমার কাছে জোকস মনে হচ্ছে।

সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরীর কথা, ‘প্রশ্নই আসে না পাতানো ম্যাচ খেলার। বরং ম্যাচটি ছিল মারদাঙ্গা। এমন অভিযোগ উঠবে, আমি কল্পনাও করতে পারি না। এখন বাফুফেকে আমরা চিঠি দিয়ে বলব, অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে থাকা ইয়াসিন আর জাফরকে চাইলে আমরা বাহরাইন থেকে ঢাকায় এনে বাফুফের কাছে হাজির করব।

স্মরণযোগ্য যে গত লিগে ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ফরাশগঞ্জের কাছে ৩-১ গোলে শেখ জামালের হার নিয়ে পরদিন সংবাদমাধ্যম বিস্তর সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। ওই জয়ে ফরাশগঞ্জ অবনমন এড়ানোর পথে কিছুটা এগোলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এই ম্যাচের তদন্তে কিছু আলামত পাওয়ার কথা বলেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ছাড়া স্বাধীনতা কাপে শেখ জামাল-রহমতগঞ্জ ম্যাচটিকে ভিডিও দেখে এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন ‘ফ্রেশ ম্যাচ মনে হয়নি’। তবে লিগে অবনমন বাঁচাতে রহমতগঞ্জকে ছেড়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং, এমন গুঞ্জন থাকলেও এই ম্যাচে আলামত পাওয়া যায়নি বলেন তদন্ত কমিটির আরেকজন সদস্য। -প্রথমআলাে অনলাইন

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment