চার ভাগনি শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেলো মামা মনির হোসেন সরকারকে । তবে জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে কুর্মিটোলা এবং সবশেষ গুলশান ইউনাটেড হাসপাতালে গিয়ে মামার মরদেহ শনাক্ত করেন তারা।
মামা হারানোর বেদনায় মুহ্যমান হয়ে ভাগনি চম্পা বলেন, ঘটনার সময় মামা ফোন করে বলেছিলেন, আগুন লেগেছে আমার জন্য দোয়া করিস।
‘মামা তোমার জন্য তো দোয়া করেছি, তাহলে তুমি চলে গেলা কেন?’ আর্তনাদ করছিলেন চার ভাগনি।
ভাগনি রোকসানা আক্তার চম্পা আরও বলেন, মামা আমাদের দেখাশোনা করতেন। কল্পনাও করিনি আমাদের মামাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাবো। অনেক আশা করে ছিলাম মামাকে জীবিত পাবো। সেটা আর হলো না।
সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনার্সের ছাত্রী চম্পা আরও বলেন, মামা আমাদের নিয়ে সবুজবাগের আহমদ নগর এলাকায় থাকেন। মামি ও এক কন্যা থাকেন ফিলিপাইনে। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। বনানীর ওই ভবনের ১০ তলায় একটি কোম্পানিতে মামা চাকরি করতেন।