ফেনীর সোনাগাজীতে যৌন হয়রানির অভিযোগকারী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি (১৮) এক মাদ্রাসাছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। অগ্নিদগ্ধ সেই মাদ্রাসাছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তারা।
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
এ ব্যাপারে আজ রবিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ‘মেয়েটির শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থার আশঙ্কাজনক। তার ব্যাপারে চিকিৎসকরা এখনও কিছু বলতে পারছি না। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি।’
এ বিষয়ে অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘আজ (রবিবার) সকালে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তখন তার মুখে অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া ছিল। সে পানি খেতে চেয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকের নিষেধ থাকায় পানি দেওয়া যায়নি। তার অবস্থা গতকালের মতোই আছে।’
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে নূসরাতের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যান তার ভাই নোমান। তবে কেন্দ্রের প্রধান ফটকে নোমানকে আটকে দেন নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা।
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
এরপর নূসরাত একাই হেঁটে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় কেন্দ্রে থেকে একটু দূরে চলে আসেন তিনি। এর ১৫-২০ মিনিট পরই মোবাইলে নূসরাতের অগ্নিদগ্ধের খবর পান তিনি। এরপর ফের কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে বোনকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান নোমান।
এ সময় নোমান নূসরাতকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
![](https://i.ibb.co/7Rr7SPR/neilllllll.jpg)
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে তার মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এর পরই এ ঘটনা ঘটল।